Connecting You with the Truth

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

doller_18289এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবার ৩ হাজার কোটি (৩০ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানের এ মজুদ দিয়ে প্রায় ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিজার্ভ হ্যাক নিয়ে যখন দেশ বিদেশে তোলপাড়ের মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল রিজার্ভ প্রথমবার ২৯ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করেছিল। তার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এদিকে বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা বিদেশি ঋণ নিয়ে আমদানি ব্যয় মেটাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সামনের দিনে আরও ডলার কিনতে হতে পারে। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়বে।
জানা যায়, গত বছরের জুন শেষে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ৫ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। রিজার্ভের দিক দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ ৩২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশের আমদানির বর্তমান গতিধারা অনুযায়ী এ রিজার্ভ দিয়ে অন্তত ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেøষণে দেখা যায়, গেল চলতি ২০১৫-২০৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৩৪৫ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের চাইতে রফতানি আয় বেড়েছে আট দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে তিন হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
এছাড়া সরবরাহ অনুযায়ী বাজারে ডলারের চাহিদা না থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনছে। চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩২০ কোটি ডলার কেনা হয়েছে। আগের অর্থবছরের পুরো সময়ে কেনা হয় ৩৪০ কোটি ডলার। মূলত আমদানি ব্যয় কম থাকায় বাজারে উদ্বৃত্ত হওয়া ডলার কিনতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

Comments