Connecting You with the Truth

ব্লগার-হত্যায় আরও তিন সন্দেহভাজন গ্রেফতার

rab_arrests_abt_

ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাসকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বর্তমান প্রধান-সহ মোট তিনজনকে তারা বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে। এরা সবাই দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছিল বলে জানানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‍্যাব দাবি করেছে। র‍্যাব পরে এক বিশেষ বিবৃতি জারি করে তাদের পরিচয় ও ছবিও প্রকাশ করে।

র‍্যাব জানিয়েছে এই তিনজন হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বর্তমান প্রধান মোহাম্মদ আবুল বাশার এবং ওই একই সংগঠনের মিডিয়া শাখায় কর্মরত জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে করে র‍্যাব জানতে পেরেছে যে রমজান ও নাঈম নামের দুজন ব্যক্তি ব্লগার অভিজিৎ রায় ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেছিল। রমজান ওরফে সিয়াম এবং নাঈম নামে ওই দুজনকে গ্রেফতারের জন্যও র‍্যাব তৎপরতা শুরু করেছে।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কর্তৃক কোনও হত্যাকান্ড চালালে জুলহাস ও জাফরানের কাজ ছিল বিভিন্ন নামে ওই সব হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করা
র‍্যাবের বিবৃতি, ধৃত তিনজন জেরায় আরও জানিয়েছে যে তারা আল-কায়দা ও আইএস সম্পর্কে আলোচনার জন্য মাঝেমধ্যে সাদেক আলী মিঠু নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় কর্মীর বাসায় যেত।

সাদেক আলী মিঠু দিনকয়েক আগেই র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি তাদেরকে বাসায় ডেকে বিভিন্ন জিহাদী বই প্রদান করতেন এবং আইএস কর্তৃক বিভিন্ন দেশ দখল, মুসলমানদের নির্যাতন ও জিহাদী ভিডিও দেখাতেন। এর আগে গত ১৭ আগষ্ট ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাস হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থায়নকারী বলে চিহ্নিত তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী মিঠু এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের বিদেশে প্রেরণে সহযোগিতাকারী পাসপোর্ট দালাল আমিনুল মল্লিককেও র‍্যাব ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছিল ব্লগারদের হত্যা থেকে শুরু করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো জসিমউদ্দিন রাহমানীর নির্দেশক্রমে। আর এই সব নির্দেশই আসত জসিমউদ্দিন রাহমানীর আপন ছোট ভাই আবুল বাশার এর মাধ্যমে, যিনি আজ ভোরবেলায় ফকিরাপুলে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন।

তাদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, জুলহাস বিশ্বাস এবং জাফরান আল হাসান মূলত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মিডিয়া শাখার কাজকর্ম তদারকি করতেন। র‍্যাবের বিবৃতি অনুসারে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কর্তৃক কোনও হত্যাকান্ড পরিচালিত হলে জুলহাস ও জাফরানের কাজ ছিল বিভিন্ন নামে ওই সব হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করা।

বাংলাদেশেরপত্র/ এডি/ আর

Comments
Loading...