ভাঙ্গায় সাপের বিষ নামাতে এখনো ভরসা ওঝা !
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সাপে কামড়ানো রুগীদের এখনো ওঝার উপরই নির্ভর করতে হয়। উপজেলায় সরকারী হাসপাতাল, এম বি বি এস ডাক্তার থাকলেও তাদের থেকে কোন সেবা পাচ্ছেনা সাপে কামড়ানো বা সর্প দংশনের রোগীরা। ভাঙ্গা হাসপাতালে আসলে সেখান থেকে ফরিদপুর পাঠানো হয় । ততক্ষনে অধিকাংশ রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার এমনি ভাবে মারা যায় গোয়ালদির এক সাপে কাটা রোগী। গত তিন মাস পুর্বে বাহারার এক বধু মারা যায় এভাবে। তাই বাধ্য হয়ে রোগীরা ওঝার দারস্থ হয়। কিছু ক্ষেত্রে কাজ হলেও আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যার্থতা জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে। তাই উপজেলা হাসপাতালে সাপের বিষের ইনজেকশন থাকবে কিনা তা সরকারের আবার ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করে সচেতন জনগন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার হিরালদী গ্রামের মোলমান হাওলাদারের ১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে সাথীকে সাপে কাটে। কিছুক্ষনের মধ্যে সাথী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সাথীকে এ অবস্থায় ভাঙ্গা হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ফরিদপুর রিফার্ড করে। ফলে সাথীর বাবা উপায়ান্তর না দেখে সাথীকে কাপুরিয়া সদরদী ছিদ্দিক ওঝার নিকট নিয়ে যায়। ওঝা বিষ নামালে সাথী ২০ মিনিটে সুস্থ্য হয়ে উঠে। এ ব্যাপারে সাথীর নিকট তার বর্তমান আবস্থা জানতে চাওয়া হলে সাথী জানায় বিষ নামানোর পর তার নিকট ভাল লাগছে, এবং কোথাও তেমন ব্যাথাও নেই।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর