Connecting You with the Truth

ভারতের মেঘালয় পুলিশের নতুন তথ্য: ইসহাক আলী খান পান্নার মৃত্যু রহস্য

ভারতের মেঘালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর মেঘালয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তাকে খুন করা হয়েছিল। তবে, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে তাকে বাংলাদেশে হত্যা করে দেহ ভারতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, নাকি ভারতে খুন করা হয়েছিল।

ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

মেঘালয় পুলিশ জানাচ্ছে, ২৬ অগাস্ট বিকেলে ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস জেলার ডোনা ভই এলাকার একটি সুপুরি বাগানে মৃতদেহটি পাওয়া যায়। মৃতদেহের সঙ্গে বাংলাদেশী পাসপোর্ট পাওয়া যায়, যা দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

তবে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) সূত্র বলছে, মি. খানের মৃতদেহ ভারতীয় সীমান্তের প্রায় দেড় কিলোমিটার ভেতরে পাওয়া গেছে, কিন্তু তাদের ধারণা, তাকে ভারতে খুন করা হয়নি। বিএসএফের কর্মকর্তারা জানান যে সাম্প্রতিক সময়ে মেঘালয় সীমান্তে কোন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের তথ্য নেই।

মেঘালয়ের শিলংয়ের স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোর তথ্যে বলা হচ্ছে, ময়নাতদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে পান্নাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল।

মেঘালয় পুলিশ সুপার গিরি প্রসাদ এম বিবিসিকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি জানান, মৃতদেহের সঙ্গে একটি স্মার্টওয়াচ এবং পোশাকও পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, মৃতদেহ নিয়ে সীমান্ত রক্ষীদের নজর এড়িয়ে ভারতে প্রবেশ করা কিভাবে সম্ভব হলো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছিল, যখন বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মেঘালয়ের শিলংয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

ইসহাক আলী খান পান্নার হত্যার প্রকৃত কারণ ও হত্যার স্থান সম্পর্কিত রহস্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি।

Comments
Loading...