ভিজিএফের চাল হরিলুট: রৌমারীতে আ. লীগ নেতাকর্মীদের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: রৌমারীতে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম। তথ্য নিতে গিয়ে আ. লীগ নেতাকর্মীদের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত। শনিবার বিকেলে দাতঁভাঙ্গা ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের ছবি তুলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোরবার রৌমারী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জনপ্রতি ১০ কেজি ভিজিএফের চাল জন্য সরকারি বরাদ্দ করা হয়। দাতঁভাঙ্গা ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ড ৫ হাজার ৯৭ যার বিপরীতে চাল ৫১ মে.টন বরাদ্ধ দেওয়া হয়। তার মধ্যে দাতঁভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের জন্য ৯০০ কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত দাতঁভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লাল মিয়ার নেতৃত্বে অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা চেয়ারম্যানকে জিম্মি করে গুদাম থেকে চালের বস্তা হরিলুট করে নিয়ে যায়। এসময় ওই সহ-সভাপতি ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে ডেকে মাষ্টাররুল ভিজিএফের নামের তালিকায় একাই ছাত্রলীগ কর্মী একাধিক টিপসহি দেন। তখন দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি জিতেন চন্দ্র দাস ভিজিএফের চাল হরিলুটের ছবি তুলায় ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং তাকে লাঞ্ছিত করেন ওই আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা । এক পর্যায়ে তারা ছবি তুলা ক্যামেরাটির সব ডুকুমেন্ট মুছে ফেলে ক্যামেরাটি ফেরত দেয়। পরে স্থানীয় লোকেরা তাকে উদ্ধার করে।
বিষয়টি উপজেলা আ’লীগ নেতাকর্মীদেরকে জানালে তারা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান, কিন্তু এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
ট্যাক অফিসার হাসমত আলী খাঁন উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ম্যানেজার বলেন, এব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লালমিয়া বলেন, আমাদের সরকার ঈদুল আযহা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের ঈদ করার জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়। আমরা চাল তুলে নিয়ে তো যাবোই এতে দোষের কি? ওই সাংবাদিক ছবি তোলার কে? এ কারণে তার সাথে নেতাকর্মীদের একটু উত্তেজিত হয়েছিল।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জানান, আমি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে তাদের কাছে আমার মূল্যেই নেই। ওরা যেটা করেছে তা মোটেও ঠিক করেনি। তারা চাল তুলে বিক্রি করে নিয়ে নেয়।