মংলায় মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে সরকারি চাল আত্মসাত, গঠন হেয়েছে তদন্ত কমিটি
মংলা প্রতিনিধি:
শেষ পর্যন্ত মংলা পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে কমিটির অন্য দুজন হলেন ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহানারা বেগম এবং সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শরিফুল ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। গত ১৯ জুলাই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঘটনার মূল গ্যাংও সনাক্ত হয়।
পৌরসূত্রে জানা যায়, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারিভাবে এবার মংলা পৌরসভার জন্য প্রায় ৪৬ টন চাল বরাদ্দ হয়। এর জন্য মেয়রের স্বাক্ষর দিয়ে ১০ কেজি করে ৪৬২১ পরিবারের ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হয়েছিলো। নাম প্রকাশ না করা শর্তে পৌর সভার এক কর্মচারী জানান, অন্যান্য সময় সরকারি এ চাল নির্ধারিত পরিবারকে দিয়েও অতিরিক্ত পরিবারকে দেওয়া যেত। কিন্তু এ জালিয়াতির পরে এবার চালের স্বল্পতা সৃষ্টি হয়। শেষের দিকে ১০ কেজির স্থানে একেক জনকে সাড়ে সাত কেজি করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে অসন্তোষও সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন জানান, মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে ভিজিএফ এর চাল নেওয়ার সময় বিনয় নামের এক যুবককে তারা আটক করেছেন এবং আয়নাল নামের একজনকে তারা সনাক্ত করেছেন। অবশ্য পরে বিনয়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করে মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, ঘটনার সময় আমি ওমরা হজ্ব পালনের জন্য মক্কা শরীফে অবস্থা করছিলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যেই দোষী হোক না কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।