মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ফাটল ১৩৫টি পরিবার পানিবন্দি
ইউসুফ আলী সুমন, নিজস্ব প্রতিনিধি: ধিউজান থেকে নেমে আসা ঢলে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহীত হওয়াসহ ক’দিনের অতি বৃষ্টিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে উপজেলার আত্রাই নদীর ১১ স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে ফাটলসহ ধস দেখা দিয়েছে। এছাড়াও অতি বৃষ্টির ফলে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের লাটুয়াপাড়া-হরিপুর বড়বিলা আবাসন প্রকল্প প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার ১৩৫টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় চরম দূর্ভোগে দিন যাপন করছে। এ আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারগুলোর জন্য সরকারি ভাবে ২ মে.টন চাল বরাদ্দ করেছে উপজেলা প্রসাশন। উপজেলা সদরের বুড়া শিবতলা, কউয়াতলী, পাঠাকাটাহাট সংলগ্ন, শ্রীনগর, বেহুলাতলী ঘাট, লক্ষণপুর, ভোলাবাজার, গোপিনাথপুর, শিবগঞ্জবাজার সংলগ্ন ও কুমিরদহ এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা আত্রাই নদীর ঢলের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও একই সাথে বন্যার পানির স্রোতে উপজেলার হাতুর ইউনিয়নের মহিষবাথান বাজার সংলগ্ন সমাসপুর ¯সুইজ গেটের পার্শ্বে ধস দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় আত্রাই নদীর পানির স্রোতে এ সুইজ গেটটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার অসংখা রয়েছে। এ সুইজ গেটটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেলে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম বন্যা কবলিত হওয়ার আসংখ্যায় এলাকাবাসী উদ্বীগ্ন। ওইসব ফাটল দেখা দেয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ এবং ধসে পড়ার উপক্রম ওই সুইজ গেটটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকাবাসী বালুর বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে। গত ১৩ আগষ্ট রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার নান্নু বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ফাটল দেখা দেয়া ওইসব স্থান পরিদর্শনসহ এলাকাবাসীকে সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। অতি বৃষ্টিতে লাটুয়াপাড়া-হরিপুর বড়বিলা আবাসন প্রকল্পে প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার ১৩৫টি পানিবন্দি পরিবারের জন্য সরকারি ভাবে ২ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এদিকে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, মহাদেবপুর আত্রাই নদীর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৩৫ সে.মি. উপড় দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে।#