Connecting You with the Truth

মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে সুস্থ থাকার উপায়

migrainepainসারা বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ ভোগেন মাইগ্রেনে। অতিরিক্ত গরম, বর্ষা, মেঘলা দিনে যেই সমস্যা মাথার ওপর জাঁকিয়ে বসে দুর্বিসহ করে তোলে। অসহ্য মাথা যন্ত্রনার সঙ্গে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব কখনও বা ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে হাজির হয় মাইগ্রেন।

 

 

মাইগ্রেন কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি-

খাওদা দাওয়া- যে কোনও শারীরিক সমস্যাই কমানো যায় সঠিক খাওয়া দাওয়ায়। ডায়েটে যদি ভিটামিন B2 সমৃদ্ধ খাবারের পরিমান বেশি থাকে তাহলে অনেকটাই রোখা যায় মাইগ্রেন। চিকেন, মাছ, ডিম, ছোলা বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাকসবজি বেশি খান। প্রতিদিন অনন্ত ৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন B2 খেলে পারে কমতে পারে মাইগ্রেন। এছাড়াও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছের তেলও মাইগ্রেন কমাতে উপকারী। কাঠবাদামের মধ্যেও মেলে প্রচুর পরিমান ওমেগা থ্রি।

চটজলদি রেহাই পেতে

আদা-শিরার ফোলা কমানোর গুণ রয়েছে আদার। বমি বমি ভাব কাটাতে ১ কুচি আদা মুখে দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন। আদা থেঁতো করে গরম জলে ফেলে ছেঁকে সেই জল খেলেও উপকার পাবেন। এই জল কপালে লাগালেও আস্তে আস্তে কমে যাবে যন্ত্রনা।

কফি-অতিরিক্ত ক্যাফেন যদিও যন্ত্রনা বাড়িয়ে তোলে, এক কার গরম ধোঁয়া ওঠা কফি তেমনই আরাম দিতে পারে মাইগ্রেন থেকে। কফির কাপে ফেলে দিন একটা অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট। এই কফিতে চুমুক দিলেও নিমেষে কমে যাবে ব্যাথা।

অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম-উজ্জ্বল আলোয় থাকলে, টিভি বা কম্পিউটারের সামনে, আগনের সামনে বেশিক্ষণ থাকলে মাইগ্রেনের যন্ত্রনা বাড়ে। অতিরিক্ত আওয়াজও অসহ্য লাগে। এই সময় ঘর অন্ধকার করে শান্ত জায়গায় শুয়ে ঘুমিয়ে নিন। ঘুম না হলেও চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ।

আইস ব্যাগ থেরাপি-যেকোনও ফোলা কমানোর সবথেকে ভাল উপায় বরফ। কপালে আইস ব্যাগ চেপে রাখুন হালকা করুন। ব্যাথা কমে আরামে শরীর জুরিয়ে যাবে।

রিল্যাক্সেশন থেরাপি-শুধু যন্ত্রনার সময় ক্ষণিকের আরামই নয়, মাইগ্রেনকে জীবন থেকেই সরিয়ে দিতে পারে রিল্যাক্সেশন থেরাপি। তবে হ্যাঁ, যদি মেনে চলেন নিয়মিত। মাথায় ম্যাসাজ, ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন বা যোগাভ্যাস কমাতে পারে স্ট্রেস। কমবে মাইগ্রেনের সমস্যা।

কীভাবে করবেন?

ডিপ ব্রিদিং-আরামদায়ক ভাবে বসে বা শুয়ে নাক দিয়ে বড় শ্বাস নিন, আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এইভাবে ৫ থেকে ১০ বার গভীর শ্বাস নিলেই আপনার শরীর নিজে থেকেই হালকা হয়ে যবে, শ্বাস আপনা থেকে ছোট হয়ে আসবে। রেহাই মিলবে যন্ত্রনা থেকে।

মেডিটেশন-ধ্যান করার কোনও বিশেষ নিয়ম নেই। আরামদায়ক ভাবে বসে বা শুয়ে মেডিটেশন করতে পারেন। অনেকক্ষণ টানা ধ্যান করারও প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন ১০ মিনিটই যথেষ্ট। চালিয়ে নিন পছন্দ মতো মিউজিক। আস্তে আস্তে ডিপ ব্রিদিং করলে শান্ত হবে মন, শরীর রিল্যাক্স হবে। অনের গাইডেড মেডিটেশন ভিডিও পাওয়া যায়। নিজের সুবিধা মতো ভিডিও চালিয়ে মনসংযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/পি

Comments
Loading...