মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা সদরের শত্রুজিৎপুর বাজারে পাট কেনা বেচা নিয়ে ফারুক হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ফারুকের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম। তিনি শত্রুজিৎপুর বাজারের রড, সিমেন্ট বিক্রেতা ও ফারুক এন্টারপ্রাইজের মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে শত্রুজিৎপুর হাটের সময় ফারুকের দোকানের সামনে তার চাচাত ভাই ইমদাদুলের সাথে পাট কেনার জন্য পাট বিক্রেতার সঙ্গে দামাদামি করছিলেন নিহত ফারুকের চাচাতো ভাই ইমদাদুল। ওই একই পাট কেনার জন্য ওখানে উপস্থিত হয় হাবিবুর রহমান (৪০) নামের আরেক ব্যবসায়ী। তার বাড়ি শত্রুজিৎপুর মোল্যা পাড়ায়। তিনিও শত্রুজিৎপুর বাজারে ব্যবসা করেন।
পাট কেনাকাটা নিয়ে ইমদাদুল ও হাবিবুর রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এসময় ফারুক ঠেকাতে এগিয়ে এলে তাকেও ধাক্কা দেয় ও গায়ে হাত তোলে হাবিবুর। এর একপর্যায়ে ফারুক অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশেই ডাক্তারের কাছে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গৌতম ঠাকুর বলেন লাশ ময়নাতন্তে শেষে তাদের পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে আমরা আসিফ(২০) পিতা হাবিবুরকে গ্রেফতার করেছি।
এদিকে মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউপির গোয়ালবাথান গ্রামের মোঃ জহুর মোল্লার ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন(২৭)নামের এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, অনুমান রাত ১.৩০ টায় মোবাইল চার্জে লাগাতে গিয়ে মাল্টিপ্লাগের সাথে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এর পর তাকে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাঁসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। ইমরান ছোট জোকা আলিম মাদরাসার ছাত্র।
জানাগেছে সে ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম খেলায় আসক্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল চার্জে দিয়ে গেম খেলায় এমন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।