‘মোদি এফেক্ট’ কি বিলীন হতে শুরু করেছে?
চার মাস আগে সাড়ম্বরে অভিষেক হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। চারদিকে স্লোগানে মুখরিত হয়েছিল, ‘অচ্ছে দিন আ গয়ে।’ সেনসেক্স, নিফটি ভেলকি দেখাতে শুরু করেছিল বিজেপি আসার সংকেতে। বণিকমহলে শোরগোল ফেলে ‘মোদিফায়েড’ হয়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। কিন্তু ঠিক চার মাস পরে দেশের ১০ রাজ্যে ৩৩টি বিধানসভা এবং ৩টি লোকসভা আসনে উপনির্বাচনের চিত্রটা বিজেপির জন্য ‘অচ্ছে দিন’ হলো না। বরং সেখানে একটু অন্ধকারের ছায়া। দেশ জুড়েই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ‘মোদি এফেক্ট’ কি বিলীন হতে শুরু করেছে?
অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির জন্য আসার আলো দেখালো উপনির্বাচন। লোকসভায় নিতান্ত সম্মানটুকু যে দল বাঁচাতে পারেনি, সে বিজেপির গড়ে ঢুকে তাকে থাবা মারবে, এমনটা খোদ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব স্বপ্নেও বোধহয় ভাবেনি। রাজস্থানের মতো রাজ্যে ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে কংগ্রেস, গুজরাটে ৯টির মধ্যে ৩টি কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশে ফের এক বার মুলায়ম ‘জাদু’। ১১টির মধ্যে ৯টিই সমাজবাদী পার্টির দখলে। ২টি পেয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরায় ১টি আসন ধরে রেখেছে সিপিএম। অন্ধ্রপ্রদেশে মেডক লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছেন টিআরএস প্রার্থী কে প্রভাকর রেড্ডি। ফলে, সামগ্রিক চিত্রটা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মোটেও সুখকর হয়নি তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
বিজেপির জন্য ঘটনা আরও একটু গম্ভীর। কারণ, আগামী মাসে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে একদা জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। ফলে সেখানেও জোট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে। তার ওপর দেশ জুড়ে যে ‘অ্যাসিড টেস্ট’ হলো, তাতে বিজেপি খুব ভালো জায়গায় নেই।