যমুনা রিসোর্টের চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির আদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি: যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের (জেআরএল) সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্পাদিত চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের রুল আট সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। সে পর্যন্ত বিষয়টিতে চেম্বার জজ বিচারপতির দেয়া স্থিতাবস্থা বহাল থাকবে বলেও আদেশ দেয় আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ। যমুনা রিসোর্টের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট আবদুন নূর দুলাল।
জেআরএল-এর সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের নোটিশ গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট স্থগিত করে আদেশ দেয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বতীরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলায় অবকাশযাপন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ১৯৯৯ সালের ২১ নভেম্বর সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩০ বছর মেয়াদে প্রায় ১৬২ হেক্টর জমি ইজারা নেয় যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। কিন্তু চুক্তি অনুসারে পাওনা পরিশোধ ও সার্টিফিকেট অব সেটিসফেকশন (সিএস) স্বাক্ষর না করার কারণ দেখিয়ে জেআরএলের সঙ্গে ওই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের চিঠি দেয়া হয় জেআরএল কর্তৃপক্ষকে।
এ চিঠি পাওয়ার পর চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা জজ আদালতে মামলা করে যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২ এপ্রিল ওই সিদ্ধান্তের ওপর স্থিতাবস্থা দেয়। শুনানি শেষে ২২ এপ্রিল আবেদনটি খারিজ করে দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে জেআরএল হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চুক্তি বাতিলের নোটিশ স্থগিত করে এবং রুলও জারি করে আদেশ দেয়। হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। বিষয়টিতে স্থিতাবস্থা জারি করে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।