আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমানের সহায়তা নিয়ে কুর্দি যোদ্ধারা মসুল বাঁধের দখলে
ইসলামিক স্টেট (আইএস) দখলকারীদের সরিয়ে দিয়ে মসুলে ইরাকের সবচেয়ে বড় বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কুর্দি যোদ্ধারা। রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমানের সহায়তা নিয়ে কুর্দি যোদ্ধারা মসুল বাঁধে এই অভিযান চালায়। কুর্দি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের যোদ্ধারা এখন ওই বাঁধ এলাকা থেকে মাইন ও ফাঁদ (বু্বি ট্র্যাপ) সরানোর চেষ্টা করছেন। ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধটি গত ৭ অগাস্ট থেকে দখল করে রেখেছিল আইএস। এই বাঁধ থেকেই ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ আর পানি সরবরাহ করা হয়। জঙ্গিরা বাঁধের পানি ছেড়ে দিয়ে ভাটির দিকে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গত জুনে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অভিযান শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো বড় ধরনের হোঁচট খেল আইএস। ইরাকের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কুর্দি নেতা হোসায়ের জেবারি বলেছেন, বাঁধের দখল নিতে তার যোদ্ধাদের বড় ধরনের লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এখন তারা নিনেভে এলাকা থেকেও আইএস জঙ্গিদের উৎখাত করতে চান, যাতে সংখ্যলঘু খ্রিস্টান ও ইয়াজিদিরা আবার তাদের আবাসে ফিরে আসতে পারেন। ইরাক ও সিরিয়ার বড় একটি এলাকার দখল নিয়ে সেখানে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট’ জঙ্গিরা। গত জুনে ইরাকের মসুল এলাকার দখল নেয়ার পর থেকে হাজার হাজার ভিন্ন মতাবলম্বীকে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। উত্তর ইরাকে অভিযান চালানোর সময় ইসলামিক স্টেটের বিদ্রোহীরা অন্তত ৫শ’ ইয়াজিদিকে হত্যা করেছে বলে ইরাকের মানবাধিকার মন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান। আইএস এর সুন্নি জঙ্গিরা নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জীবন্ত কবর দিয়েছে এবং তিনশ নারীকে দাস হিসেবে অপহরণ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। উত্তর ইরাকে আইএস জঙ্গিদের হামলার মুখে ইয়াজিদি ও খ্রিস্টানরা পালিয়ে উত্তরের পবর্তমালায় আশ্রয় নেয়। জঙ্গিদের ঘেরাও ভেঙে সংখ্যালঘু ইয়াজিদিদের রক্ষা করতে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।