যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ছয় বিশ্ব ঐতিহ্য
অনলাইন ডেস্ক: ১৯৭২ সাল থেকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থাপনার তালিকা করে আসছে৷ এই প্রতিবেদনে থাকছে এমন কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনার কথা, যেগুলো যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে কয়েকটিকে পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়৷
১. ফ্রান্সের নটার ডাম গির্জা:
কোনও সামরিক স্থাপনা না হওয়া সত্ত্বেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসিদের নৈতিকভাবে দুর্বল করে দিতে জার্মানরা হামলা চালিয়ে নটার ডাম গির্জার অনেকখানি ধ্বংস করে দিয়েছিল৷ ফ্রান্সের সব রাজার অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে এই গির্জায়৷ সংস্কার করার পর বর্তমানে এটি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনা হয়ে উঠেছে৷
২. চার্চ অফ আওয়ার লেডি:
এটি জার্মানির ড্রেসডেন শহরে অবস্থিত ‘চার্চ অফ আওয়ার লেডি’৷ আঠারো শতকে নির্মিত এই গির্জাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল৷ ২০০৫ সালে এটি সংস্কার করা হয়৷
৩. গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো:
মধ্যযুগীয় সিরিয়ার প্রতীক ‘গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো’ কয়েক শতক ধরে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও ভূমিকম্প সহ্য করে এলেও চলমান সরকার-বিরোধী আন্দোলনে আর টিকে থাকতে পারেনি৷ তবে আশার কথা, মসজিদটির মিনারগুলো শুধু ধ্বংস হয়েছে৷ কবে নাগাদ এটি সংস্কার করা হবে তা কেউ জানে না৷
৪. আফগানিস্তানের বৌদ্ধ প্রতিমূর্তি:
আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বৌদ্ধ প্রতিমূর্তিগুলোর ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো৷ সবচেয়ে বড় প্রতিমূর্তির উচ্চতা ৩৫ মিটার৷ ২০০১ সালে তালিবানের হামলায় এগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷ প্রতিমূর্তিগুলোর সংস্কার আদৌ সম্ভব কিনা তা পরিষ্কার নয়৷
৫. ইসলামি জঙ্গিদের শিকার ইসলামের ইতিহাস:
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির একটি শহর টিমবাক্টু৷ এককালে সেখানে ইসলাম ধর্মের জ্ঞানী লোকেদের যাতায়াত ছিল৷ ২০১২ সালে ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের বড় একটা অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷
৬. খ্রিষ্টীয় ও ইসলামি বিশ্বের সেতুবন্ধ :
এই সেতুটি বসনিয়া-হ্যারৎসোগোভিনায় অবস্থিত৷ কয়েক শতক ধরে স্টারি মস্ট নামের এই সেতুটি পূর্ব ও পশ্চিমের, খ্রিষ্টীয় ও ইসলামি বিশ্বের এবং ক্যাথলিক ক্রোয়শিয়ান ও অর্থডক্স সার্বদের মধ্যকার একটি সেতুবন্ধ হিসেবে পরিচিত ছিল৷ ১৯৯৩ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়৷ ২০০৫ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় সংস্থাটি৷