Connecting You with the Truth

যৌনপল্লী হতে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে উদ্ধার ।

Ma-motherফরিদপুর থেকে মোঃ খালেদুর রহমান ঃ ফরিদপুর র‌্যাব-৮ সোমবার বিকালে অভিযান চালিয়ে গোয়ালন্দ যৌনপল্লী হতে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ থানায় একটি অপহরন মামলা হয়েছে।
ফরিদপুর র‌্যাব -৮ জানায় তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পতিতালয়ে জনৈক সাগর এর ঘরে একটি মেয়েকে আটকে রাখা হয়েছে, উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের আভিযানিক দল দৌলতদিয়া পতিতালয়ে গিয়ে কথিত সাগর এর ঘর তল্লাশী করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটির কথাবার্তা বা আচরন অসংলগ্ন ও অগোছালো মনে হয় এবং মেয়েটি শুধু নিজের নাম ‘হাঁসি’ বলে জানায়। অতপর আসামী সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে একই দিন দুপুর ২ ঘটিকার দিকে জনৈক মিনারা বেগম এর নিকট হতে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ১০০০০/-টাকার বিনিময়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করানোর জন্য হাসিকে ক্রয় করে। তবে কথিত মিনারা বেগম এর সঠিক ঠিকানা জানা যায়নি। পরবর্তীতে র‌্যাবের ফরিদপুর ক্যাম্পে এনে নানান কৌশলে উক্ত হাঁসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার জেলা ও থানার নাম বলতে সমর্থ হয়। সেই সূত্র ধরে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল একে একে উক্ত থানার সকল ইউনিয়ন পরিষদে কথা বলে শেষ পর্যন্ত তার পূর্ণ ঠিকানা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জানা যায় মেয়েটি গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন জনৈক মোঃ রেজাউল করিম এর বাসায় ৬/৭ মাস যাবত কাজের মেয়ে হিসেবে বাসার কাজে নিয়োজিত ছিল। উক্ত বাসার সামনে থেকে মেয়েটি গত ২৮-০৪-২০১৬ইং তারিখ সকালে অপহ্নত হয়। এ ব্যপারে মোঃ রেজাউল করিম গাজিপুরের জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে। যার নং-১৯৫৫, তারিখ ২৮-০৪-২০১৬ইং। পরবর্তীতে মেয়েটি বিভিন্ন ভাবে হাত বদল হয়ে কথিত মিানারা বেগম নামক এক মহিলার মাধ্যমে গোয়ালন্দঘাট পতিতাপল্লীতে অপহরন চক্রের অপর এক সদস্য মোঃ সাগর হোসেন এর নিকট বিক্রি হয়। মেয়েটির পূর্ণ নামঃ মোছাঃ কল্পনা খাতুন হাঁসি । সে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার বাছড়া গ্রামের আঃ কাদের আলীর মেয়ে। ।এ ব্যপারে মেয়েটির মা বাদি হয়ে গোয়ালন্দঘাট থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। গোয়ালন্দঘাট থানার মামলা নম্বর-১২, তাং-১৬-০৫-২০১৬ইং।

Comments
Loading...