রাঙ্গাবালীতে রুয়ানুর আঘাতে আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট
রাঙ্গাবালীতে রুয়ানুর আঘাতে আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট
জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা চরমস্তাজ ইউনিয়নের গত ১১ জুন ২০১৬ ইং ধেয়ে আসা রুয়ানুর আঘাতে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২ শত পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হৃদয়বিদারক খোলা আকাশের নিচে বর্ষার মৌসুমে ঝর বৃষ্টি আর রৌদ্রের সাথে লড়াই করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে কোন মতে বেঁচে আছে।
ভিটে মাটি হীন লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘুর্নিঝড় রুয়ানুর আঘাতে চরমন্তাজ ইউনিয়নের ১,৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার একর আবাদি জমির ধানের বীজ পঁচন, লক্ষ লক্ষ টাকার মাছের ঘের সহ পানিতে তলিয়ে গিয়ে হাজারও পরিবারের বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পরে। যার কারনে সিমাহিন ক্ষতির মুখে অবহেলিত চরমন্তাজ ইউনিয়ন। রাঙ্গাবালীতে রুয়ানুর আঘাতে আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট
বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও কৃষকরা প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দক্ষিনাঞ্চলের অবহেলিত মেহনতি সাধারন মানুষ। দু- একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান যৎ সামান্য ত্রান দিলেও বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগ বালাই এখন নিত্য দিনের সঙ্গী বলে অনেকেই কেঁদে সরকারের কাছে দেশের নাগরিক হিসেবে সাধারন ভাবে বাঁচার আকুতি জানাই।
চরমন্তাজ ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মো. হানিফ বলেন, ঘুর্নিঝড় ও বন্যায় আমার অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে প্রায় হাজারও পরিবার। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। আমি যথা সাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশা পাশি বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারের সু-দৃষ্টি ও সাহায্য কামনা করছি।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবদুল্লা আল বাকী এর সাথে কথা হলে তিনি সার্বিক খোজ-খবর নিচ্ছেন এবং ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান।