Connecting You with the Truth

রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পুরনে বার বার ব্যর্থ হিলি কাস্টমস

হিলি কাস্টমস Hili Customsলুৎফর রহমান, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেধে দেয়া রাজস্ব আয়ের লক্ষ মাত্রা থেকে বার বার পিছিয়ে পড়েছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমস সুত্র বলছে, আমদানি-রপ্তানী স্বাভাবিক থাকলেও শুল্কমুক্ত পন্যই বেশি আমদানি হচ্ছে এ বন্দর দিয়ে। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির জন্যও আমদানী কমেছে বলে বলছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় পন্য আমদানি কমে গেছে । সেই সাথে কমেছে পন্য রপ্তানীও। ফলে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রায় পৌছাতে ব্যার্থ হচ্ছে হিলি কাস্টমস।
বানিজ্য প্রসারের সম্ভাবনায় সরকার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৮৬ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানী বানিজ্য শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বন্দরটি ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্ববহন করে আসছে। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে উত্তর সীমান্তের দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের সাথে রেল ও সড়ক যোগাযোগ রয়েছে দেশেরও ভারতের সকল অঞ্চলের সাথে। চাহিদার অধিকাংশ পণ্যই আমদানি –রপ্তানি হয়ে থাকে এ স্থল বন্দর দিয়ে। অব্যবস্থাপনার কারনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি অনেকাংশে কমে গেছে।
কাস্টম সুত্র বলেছে, আমদানি-রপ্তানি কখনো বন্ধ থাকেনি হিলি স্থল বন্দর দিয়ে। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপিত পন্য আমদানি কমে গিয়ে আসছে চাউল,পেঁয়াজ, খৈল,ভ’ষি, গম,ভুট্রা। যার অধিকাংশই শুল্কমুক্ত। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১৫৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লক্ষ মাত্রা বেধেঁ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এবিআর), আর এর বিপরিতে জোড়াতালি দিয়ে আয় হয়েছে ১৫৯ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১৫৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা লক্ষ্য মাত্রা’র বিপরিতে আয় হয়েছে মাত্র ৩০ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১১০ কোটি টাকা লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করে দেয় হিলি কাস্টম কতৃপক্ষকে। কিন্তু অর্থ বছরে আয় হয়েছে মাত্র ৭১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
বাংলাহিলি ক্স্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সি এন্ড এফ) এজেন্টস সদস্যরা বলেন, অভিভাবকযদি দায়সারা হয়, বন্দরের কাজ কিভাবে হবে। বিদ্যুৎ সমস্যা, সার্ভারের সমস্যা, আর এ কারনে পন্য খালাসে বিরম্বনা, পচনশীল পণ্য পেঁয়াজ যদি সকালে ভারত থেকে আমদানি হয়। সার্ভারের সমস্যার কারনে পেঁয়াজের ছাড়পত্র নিতে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তার মধ্যে পেঁয়াজের অবস্থা কি হতে পারে? এ ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তাবাবুরাই বা কি করবে? মান্ধাতা আমলের রাস্তা ঘাট নিয়েই হিলি স্থল বন্দর। তাও আবার যানযটে ভরপুর। কি ভাবে আমদানি বাড়বে? কি ভাবেই বাড়বে সরকারের রাজস্ব? আমদানি কারকরা জানান সোনামসজিদ, বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারি এদের জন্য সুবিধা বেশী পক্ষান্তরে হিলিতে সুবিধা কম । আর আমদানি কারকরা যেখানেই একটু সুবিধা পাবে সেখানেই চলে যাবে। সে জন্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাড়ছে না ও রাজস্বও কমে গেছে ।
বাংলাহিলি কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সি এন্ড এফ) এজেন্টস এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ জানান, অনেক ট্যা´জেজ পন্য আমদানিতে নিষেধ রয়েছে। এই সব পন্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে আমদানি কারকদের উৎসাহ বেড়ে যাবে এবং সরকারও বিপুল পরিমানের রাজস্ব পাবে। রাস্তা প্রসস্থ হলে যানজট মুক্ত হলে বানিজ্যের কিছুটা উন্নতি হবে। বন্দরের রাস্তা প্রসস্থ না হওয়ায় আমদানি পন্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে এলেই যানযটের সৃষ্ঠি হয়। হিলি স্থল বন্দরের রাস্থা গুলোর দ্বীমুখী করণ, পানি নিস্কাশন এ বন্দর দিয়ে বানিজ্যের গতি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি বেড়ে যাবে সরকারের রাজস্ব ।

Comments
Loading...