রামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন করায় শিক্ষক অবরুদ্ধ
মাসিমপুর এ.এল.এম উচ্চ বিদ্যালয়-ফাইল ছবি।
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাসিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাথার চুল কর্তন করায় ক্ষুদ্ধ অবিভাবক ও এলাকাবাসী । মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির হস্তক্ষেপে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকেরা ক্ষমা চেয়ে মুক্ত হয়। এ ঘটনায় উপজেলা ব্যাপী চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রে জানাযায়, উপজেলার মাসিমপুর এ.এল.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মেসি সহ বিভিন্ন খেলোয়ারদের অনুসরন করে মাথার চুল কাটিং করে। শিক্ষার্থীদের চুলের কাটিং দেখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ ক্ষীপ্ত হয়ে সকল শিক্ষার্থীদের অফিস কক্ষে নিয়ে আসার জন্য সহকারী শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। পরে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে শ্রেনী শিক্ষকেরা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেনীর ৫০/৬০জন শিক্ষার্থীকে অফিস কক্ষে উপস্থিত করলে প্রতিষ্ঠানের এমএলএসএস আল আমিন ৫২জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অবিভাবকদের জানালে শতাধিক অবিভাবক ও গ্রামবাসী তাৎক্ষানক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকল শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
চন্ডিপুর ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ খোরশেদ আলম বলেন,আমার পুত্র ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রের মাথার চুল কর্তন করায় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বইপত্র ফেলে দিয়ে খালার বাড়িতে চলে যায়।
অবিভাবক শামসুল ইসলাম বলেন,৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া আমার পুত্র সাজেদুল ইসলাম চুল কর্তন নিয়ে বাড়ি ফিরে আর পড়বে না বলে কান্নাকাটি করে ভেঙ্গে পড়ে।
এমএলএসএস আল আমিন বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ পেয়ে আমি শিক্ষার্থীদের চুল কেটেছি। তবে একটু বেশি কাটা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শিক্ষার্থীরা সামনের চুল বড় রাখায় অফিস কক্ষে নিয়ে এসে কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি হবে বুঝতে পারিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক শিক্ষা কর্তকর্তা হালিমা বেগম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।