রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দেশে নগ্ন হয়ে অফিস করছেন কর্মকর্তারা
অনলাইন ডেস্ক: নগ্নতায় মজেছে বেলারুশ। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে অফিস-কাছারি-দোকানপাটে শুরু হয়েছে নগ্নতার ঢালাও প্রদর্শনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে পালন হচ্ছে রীতিমতো নগ্নতার উত্সব।
বেলারুশের মানুষ অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। দেশের প্রেসিডেন্টের যে কোনও নির্দেশ মানতে তাঁরা সদা-তত্পর। সম্প্রতি তাঁর নির্দেশ মেনে কর্মক্ষেত্রে বিনা পোশাকে হাজিরা দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট, ট্যাটুশিল্পী থেকে শপিং মলের কর্মী- সকলেই দ্বিধাহীন ভাবে নগ্ন হয়ে কাজ করছেন।
অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে গত সপ্তাহে মিন্স্ক শহরের এক সভায় দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ল্যুকাশেঙ্কো। কিন্তু ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ ফস্কে তিনি বলে ফেলেন, ‘পোশাক ছেড়ে কাজ করে যান যতক্ষণ না ঘামে জবজবে হচ্ছেন।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্ট আসলে দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উত্সাহ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ সেই বিশ্লেষণ মানতে নারাজ। দেশনেতার বাণী শিরোধার্য করে তাঁরা মেতে উঠেছেন নগ্নতার প্রদর্শনীতে।
বেলারুশের অসংখ্য বিবস্ত্র পুরুষ-নারীর মিছিলের ছবিতে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দেখা যাচ্ছে, ল্যাপটপ-অ্যান্ড্রয়েড ফোন-কাগজ-কলম নিয়ে স্বচ্ছন্দে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগ্ন হয়ে কাজ করে চলেছেন অফিসকর্মীরা। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে #раздеватьсяиработать, অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় #নগ্নহয়েকাজকরুন।
ইউজারদের কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট ল্যুকাশেঙ্কোকে আদর করে ‘ড্যাডি’ নামেও সম্বোধন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ক্যাপশনে হামেশাই লেখা হচ্ছে, ‘ড্যাডির আদেশ মাথা পেতে নিলাম’ অথবা ‘ড্যাডি বলেন, আমরা করে দেখাই’। সত্যি, এমন ‘পিতৃভক্ত’ সন্তান এ যুগে বিরল! সূত্র: ইন্টারনেট।