Connect with us

জাতীয়

রিমান্ড আবেদন ও জামিন নাকচ করে ফখরুল কারাগারে

Published

on

mirja picআদালত প্রতিবেদক:
গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রিমান্ডে নিতে পুলিশের আবেদন এবং তার জামিনের আর্জি নাকচ করে এই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম ভূইঞা বুধবার এই আদেশ দেন। প্রয়োজনে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ কারাফটকের ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকালে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের কয়েক মিনিটের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে গ্রেপ্তার হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল। রাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রেখে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে। নির্বাচনের বর্ষপূর্তির আগের রাতে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফখরুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আবু। এর বিরোধিতা করে ফখরুলের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের আবেদন করেন। তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অসুস্থ। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ব্যাকপেইনসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। রিমান্ডে নেওয়ার জন্য পুলিশ মামলার সব নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করেনি দাবি করে ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, এই বিএনপি নেতার বিরদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। প্রয়োজনে পরে কোনো এক দিন তাকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে আদালত শুনানি করতে পারে। অন্যদিকে আবদুল্লাহ আবু বলেন, তারা প্রয়োজনীয় সব কাগজই আদালতে জমা দিয়েছেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড-জামিন দুই আবেদনই নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠাতে বলেন। ৫ জানুয়ারির রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত সোমবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান করছিলেন ফখরুল। মঙ্গলবার বিকালে সেখান থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন সংঘাত ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা অর্ধশতাধিক। গত বছর কয়েক মাস তাকে কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। ৪ জানুয়ারি রাতে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পল্টন থানায় নতুন করে দুটি মামলা করে পুলিশ, যাতে ফখরুলকেও আসামি করা হয়। এর মধ্যে এক মামলাতেই তাকে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বকশীবাজারে সংঘর্ষের মামলায়ও ফখরুলকেও আসামি করেছে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার হাইকোর্টে ফখরুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। তার অনুপস্থিতির জন্য চলমান পরিস্থিতিকে কারণ হিসাবে দেখান আইনজীবীরা। তবে আদালত তা নাকচ করে দেয়া হয়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *