Connecting You with the Truth

রোদ বৃষ্টিতে ছাতা; পুষ্টিতে আতা

আতাফলআতা অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন ফল হলেও সময়ের আবর্তে এই ফলটি প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে । এটি শরিফা নামেও পরিচিত । পর্তুগীজ ভাষায় এটিকে আতা বলে । পর্তুগীজরা কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের আগে এ ফলটিকে আমাদের দেশে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ ও ভারতে বসতবাড়ীর আঙিনায় এবং বনে-জঙ্গলে আতা গাছ জন্মে। তবে অষ্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়ে থাকে । আতা ফলের বীজ থেকে আতার চারা উৎপন্ন হয় । আতা গাছ বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভাল জন্মে । যে স্থানে গাছের গোড়ায় পানি জমেনা, সে স্থানে আতাফল গাছ চাষ করা যায় । এর পাতার আকৃতি বল্লমের মতো, অগ্রভাগ সরু। আতাফল কাঁচা খাওয়া যায়না,পাকলে খেতে হয়। আতাফল দেখতে অনেকটা হ্নৎপিন্ডের মতো । ফলের ভিতরে অনেক কোষ থাকে । আতাগাছের পাতা, শিকড়, বীজ ও ফল ঔষধ হিসেবে ব্যবহ্নত হয় ।

এক নজরে দেখে নিই কি গুন আছে আতায় :
(১) আতাফলে বিদ্যমান শর্করা এবং বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিকর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে । এছাড়াও আতাফল অত্যন্ত সুমিষ্ট ফল যা খাওয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
(২) আতাফলে রয়েছে ভিটামিন ’এ’ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।এছাড়া ইহা চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ।
(৩) মুখের ভেতরের চামড়া উঠে যাওয়া, মাড়িতে ঘা হওয়া, ঠোটের কোনায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া ফেটে যাওয়া- এসব অসুখ সারাতে দরকার ভিটামিন ’সি’ যা আতায় রয়েছে ।
(৪) আতাগাছের শেকড়ের ছাল আমাশয়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহ্নত হয়।
(৫) আতাফলে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম হ্নদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে ।
(৬) যে ফোঁড়া পাকেও না আবার বসেও না, এমন ফোঁড়ায় আতার বীজ বা পাতা বেটে সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে পুঁজ বের হয়ে যায় ।
(৭) পাতার রস উকুননাশক হিসেবে ব্যবহ্নত হয় ।
(৮) আতা গাছের বীজ ও ছালের নির্যাস কীটনাশক হিসেবে কাজ করে।

লেখক : কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম মল্লিক,কৃষি অফিসার,আরএসডিএ-সিএলপিতে কর্মরত ; তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Comments
Loading...