Connect with us

Highlights

রৌমারীতে পানি নিস্কাশনের মুখে বাড়ি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

Published

on

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতায় প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির আবাদ থেকে বঞ্চিত রয়েছে কৃষকগণ। ফলে জমিতে আবাদ করতে না পেয়ে হতাশায় পড়েছেন জমির মালিক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসি।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ডিসি রাস্তার জাইদুল ইসলামের বাড়ির সংলগ্ন পানি নিস্কাশনের জন্য কালভার্ড নির্মাণ করা হয় গত কয়েক বছর আগে। কালভার্ডের স্থানে জাইদুল, রাইজউদ্দিন ও লালচান নামের শরিকগণ বাড়ি নির্মাণ করায় কালভার্ডের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই এলাকায় কোমরভাঙ্গী, ধরারচর, টাংড়াপাড়া, মধ্যপাড়া, বাইমমারী, আকন্দ পাড়া, গোলাবাড়ি, দিঘলাপাড়া, সরকার পাড়া, চাক্তাবাড়িসহ প্রায় ২০ টি গ্রামে জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি আবাদ করতে পারছেনা কৃষকরা। বৃষ্টি ও বন্যার পানি প্রবেশ করে ওই এলাকার জমির উপর প্রায় বন্যা মৌসুমে ৪/৫ হাত পর্যন্ত পানি জমে থাকে। পর্যায়ক্রমে দিনে দিনে পানি শুকিয়ে কার্তিক মাসে প্রায় দেড় দুই হাতের মতো পানি জমে থাকে। ফলে সরিষা, আমন ও শাকসবজিসহ কোন ফসলই উৎপাদন করতে পারছে না কৃষক। এতে প্রতিবছর ক্ষতির সম্মখিন হচ্ছেন স্থানীয়রা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন বিভিন্ন দপ্তরে দেন এলাকাবাসি। এতেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়ক অবরোদ্ধ করেন।

বিষয়টি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রৌমারী থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মেজবাউল ইসলাম, ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে বিক্ষোভকারিদের পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারিরা তাদের অবরোদ্ধ তুলে নেন। এতেও কোন কাজ না হওয়ায় স্থানীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি’র কাছেও যান এলাকাবাসি। বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল তিনিও সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এরপরেও পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে কুষকরা আরোও হতাশায় পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কয়েক দফায় সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং সবার দৃষ্টি কামনা করেন।

ধনারচর গ্রামের ভুক্তভোগি কৃষক মোগল হোসেন ও জাবেদ আলী জানান, একটি কুচক্রিমহল তাদের স্বার্থের কারণে এলাকার ক্ষতি করে কালভার্ডে মুখ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করে। আমরা এর ক্ষতিপুরন চাই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান এখানে পানি নিষ্কাশনের দুটি কালভার্ট ছিলো সেগুলো বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করায় এই জমিগুলোতে ফসল চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আশা করি প্রতিকার পাবেন কৃষকরা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল ভুক্তভোগি কৃষকদের কথা চিন্তা করে বলেন এবিষয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে এর একটা সমাধান করবো। যাতে করে কৃষকরা ফসল ফলাতে পারে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *