লক্ষ্মীপুরে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে দখলদাররা। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বাজারের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে ‘দ্বৈতনীতি’ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথ এবং ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সরকারি সম্পত্তিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। ওইসময় অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও সহকারি কমিশনার ভুমি সমর কান্তি বসাক। পরে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দখলদারদেরকে তিনদিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাজারের চন্দ্রগঞ্জ মডেল স্কুল, শাহিন হোটেল, শ্রমিক হোটেল, কাসেম বেকারিসহ সরকারি সম্পত্তি থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয় দখলদাররা। তবে ওই বাজারে সরকারি সম্পত্তিতে গড়ে উঠা অন্তত ৫শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সরকারি সম্পত্তি জেনেও বেশ কয়েকটি স্থানে রহস্যজনক কারনে দখলদারকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অন্যদিকে কয়েকটি স্থানে সরকারি সম্পত্তি না থাকলেও জমির মালিককে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।বিষয়টিকে দ্বৈতনীতি হিসেবেই দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
চন্দ্রগঞ্জ মডেল টাউন ও মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান প্রবাসী রমিজ উদ্দিন আহাম্মদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠিত স্কুলের একটি ক্ষুদ্র অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তারা নিজেরাই দখলকৃত অংশ থেকে স্থাপনা তুলে নেন।