সিরাজদিখানে মেয়েকে না পেয়ে মাকে গণধর্ষন, আটক ২
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বালিয়াকান্দা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূ (৩৮) কে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ৫ আসামীর নামে থানায় গৃহবধুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো মামলার ১নং আসামী উপজেলার কেয়াইন গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে মো. সেলিম মিয়া (২৬) ও ৩ নং আসামী বালিয়াকান্দা গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে মোঃ রকি (২৭)। বাকি ৩ জন পলাতক রয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ২ ধর্ষককে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানায় বৃহস্পতিবার একটি ২৪নং মামলা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ থেকে জানাযায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৪টার দিকে ৫ জন দূর্বিত্ত ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। মাদ্রাসার ছাত্রী তার ১৪ বছরের মেয়ে কোথায় জিজ্ঞাসা করে। ঐদিন মেয়ে আত্মিয়ের বাড়ি ছিল। মেয়েকে না পেয়ে স্বামী ও ছেলেকে হাত-পা-মুখ বেঁধে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় হুমকী দিয়ে বলে এঘটনা কেউ জানলে জানে মেরে ফেলবে। সকালে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে তিনি গতকাল থানায় এসে মামলা করেন। গৃহবধূর বাড়ি শেরপুর নলিতা বাড়িতে। প্রায় ১২ বছর যাবৎ সিরাজদিখানের বালিয়াকান্দা গ্রামের বশির মিয়ার বাড়িতে তারা থাকেন। ধর্ষকরা বাড়িটি নিরিবিলি পেয়ে মাদকের আস্তানা বানিয়েছিল। তাদের বাঁধা দেওয়ার কারণে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে এটা সত্য, তবে কারা ঘটিয়েছে এটা এখনো পরিস্কার হয়নি। কারণ আমরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন নাম শুনেছি। তবে পুলিশ যদি সঠিক তদন্ত করে আসল আসামীরা ধরা পরবে।
এএসপি শ্রীনগর সার্কেল সামসুজ্জামান বাবু জানান, গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতরাতে সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে বাকিরা পালিয়েছে। দুপুরে ২ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। থানায় ধর্ষন মামলা হয়েছে।