লক্ষ্মীপুরে তিন বছরেও সংস্কার হয়নি মুসা খালের সেতু,জেলা শহরের সাথে বিচ্ছিন্ন ৩ উপজেলা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের মুসা খালের উপর সেতুটি গত মহসেনের প্রবল পানির স্রেতে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধি পরিদর্শন করলেও তিন বছর পরেও সেতুটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যায় নি। ফলে পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে মুসা খালের দু’পাড়ের কয়েক লক্ষ মানুষকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভুতা গ্রামের মুসা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি গত ২০১৩ সালের মহসেনের পানির প্রবল স্রোতে ধসে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে জেলা শহরের সঙ্গে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, সাহেবেরহাট, চৌধুরীবাজা, নবীনগরসহ প্রায় ১০টি বাজারের। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এখানকার কৃষকেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা এখন বাঁশের সাঁকো তৈরি করে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার জানান, কমলনগর উপজেলার মেঘনার পাড়ের বাতিরঘাট, মতিরহাট থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে এই সড়কে দিয়ে যাতায়াত করতো। সেতুটি ধসে পড়ার কারণে তাদের এখন বাড়তি ভাড়া এবং প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে লক্ষ্মীপুর শহরে যেতে হয়। এছাড়াও এসব এলাকার কেউ অসুস্থ হলে সদর হাসপাতালে নিতে তাদের চরম অসুবিধা হচ্ছে। প্রায় তিনটি উপজেলার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার অতীব জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনঃসংস্কার করলে রেহাই পাবে মানুষগুলো।
ভবানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি জানান, চরভুতা গ্রামে মুসার খালের উপর সেতুটির ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করত। গত ২০১৩ সালের মহসেনের প্রবল পানির স্রোতে সেতুটি ধসে পড়ে। কিন্তু এখন সেতুটি না থাকায় গ্রামের কৃষকদের ফসল পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা উন্নয়নমূলক সভায় বিষয়টি কয়েকবার বলার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। এতে তার ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ জনগণ অনেক দুঃখে কষ্টে আছে। তিনি আরো বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে তার দাবি অচিরেই সেতুটি সংস্কার করা হোক।
লক্ষ্মীপুর সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান কামাল (এমপি) জানান, মুসা খালের উপর বিধ্বস্ত সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবো। আশা করি অচিরেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে ভুক্তভোগী মানুষগুলো।