লালমনিরহাট হাতীবান্ধার তিস্তাব্যারেজ এলাকায় কিশোরী গণধর্ষনের শিকার
পাপেল দাস, হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি: লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলার ১৫ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। ডালিয়া তিস্তার ব্যারেজের দোয়ানী আনসার ক্যাম্প সদস্যের খপ্পরে পড়ে গণধর্ষনের বলি হয়ে থানায় মামলা করেছেন ধর্ষনের শিকার হাতীবান্ধা উপজেলার গোলেনুর খাতুন।যার মামলানং-১০, তারিখ-১০/০২/২০১৫ইং।হাতীবান্ধা থানায় দেয়া লিখিত এজাহারে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি গোলেনুর খাতুন তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে নীলফামারী জেলার ডিমলা এলাকায় যাবার সময় ডালিয়া তিস্তাব্যারেজ এলাকায় পৌছালে সেখানকার আনসার ক্যাম্পের সদস্য ইয়াকুব আলী তাদের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার কৌশলে উভয়কে আটকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই শাহানুর আলম বাবু (২৬) কে ক্যাম্পের গোল ঘরে বসিয়ে রেখে গোলেনুর কে পার্শ্ববর্তী ̄স্থানে নিয়ে গিয়ে ইয়াকুব আলী সহ তার ৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ সময় গোল ঘরে আটক থাকা চাচাতো ভাই বাবু বিষয়টি আচ করতে পেরে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় গোলেনুর কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। উপস্থিত লোকজন এ সময় ঘটনা শুনে থানার আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন, এস আই রমজান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদীকে ডাক্তারের পরীক্ষার জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারী লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পাদন করে। এদিকে মেডিকেল পরীক্ষার পর ১৫ ফেব্রুয়ারী বাদী বাড়িতে পৌছিলে আসামীদের পক্ষ নিয়ে ঐ এলাকার মাতবর হাজী ইউনুস, মকছেদ আলী বাদীর বাড়ীতে গিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ টাকার বিনিময়ে অভিযোগটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে বলে বাদী অভিযোগ করেছেন। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পরে বাদীর চাচী আমেনা বেগম (৫৫) বলেন ”মাইয়াডার বিয়া হইব? মামলা চাইলাইতে গেলে টাকা লাগব, মানুষ জাইনা ফেলাইব, তখন মোগো কি হইবে” । এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ মতিন প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ”প্রাথমিকভাবে গোলেনুরকে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গিয়াছে, ইতোমধ্যে তার ডিএনএ পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে, রিপোর্ট হাতে আসলেই আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”