‘শীর্ষ বৈঠকের শর্তে ১০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল উ. কোরিয়া’
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকের পূর্বশর্ত হিসেবে ২০০৯ সালে ১০ বিলিয়ন ডলার ও পাঁচ লাখ টন খাদ্য দাবি করেছিল উত্তর কোরিয়া। কিন্তু বৈঠকের বিনিময়ে কিছুই দিতে রাজী হননি তৎকালীন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা বাকের লেখা একটি বইয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে বইটি বাজারে আসছে। বৃহস্পতিবার ওই বইয়ের উত্তর কোরিয়ার অধ্যায়গুলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে আগেভাগেই এসেছে। এতে উত্তর কোরিয়ার দাবিগুলোর একটি তালিকা দিয়েছেন বাক। তাতে দেখা যায়, শীর্ষ বৈঠকের শর্ত হিসেবে চার লাখ টন চাল, এক লাখ টন ভুট্টা, তিন লাখ টন সার ও উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছে। “শীর্ষ বৈঠকের জন্য দর কষাকষি করা উচিত হবে না” বিবেচনায় উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বলে লিখেছেন বাক। বাকের পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট কিম দে জুং ২০০০ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা দ্বিতীয় কিম জং’য়ের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকের পর থেকে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক বেশ কয়েক বছর উষ্ণ ছিল। ওই সময় উত্তর কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা করেছিলেন দে জুং। এরপর কিম দে জুং’য়ের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিয়ুন ২০০৭ সালে দ্বিতীয় কিম জং’য়ের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দ্বিতীয় কিম জং বারবার শীর্ষ বৈঠকের তাগাদা দিলেও আর কোনো শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ টর্পোডের আঘাতে ডুবিয়ে দেয়ার দায়িত্ব কিমের অস্বীকার করার কারণে বৈঠক আর অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানিয়েছেন বাক। এরপর উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে কোনো বৈঠক ছাড়াই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়েন বাক। ১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত সংঘটিত দুই কোরিয়ার যুদ্ধ একটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল। ফলে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধে বিরতি হয়েছে যুদ্ধ শেষ হয়নি।