শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের দায়িত্ব এখন সায়েম সোবহানের
স্পোর্টস ডেস্ক:
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অকৃত্রিম বন্ধু বসুন্ধরা গ্র“প। দীর্ঘদিনের এই বন্ধুত্বে স্বনামধন্য শিল্প গ্র“পটি বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশের খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ায় ভূমিকা রাখছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতার সর্বশেষ স্মারক বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে বসুন্ধরা ক্রিকেট সিরিজ। এই বন্ধনকে আরো জোরালো করতে বসুন্ধরা গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর দায়িত্ব নিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের। ক্লাব এই কীর্তিমান সংগঠককে বসিয়েছে চেয়ারম্যানের পদে, সুবাদে তার নেতৃত্বে মাঠের শেখ রাসেলকে দেখা যাবে নতুন সাজে। এর পেছনে রয়েছে তার সুবিশাল পারিবারিক ক্রীড়া ঐতিহ্য। শুরু সায়েম সোবহান আনভীরের দাদা অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহানকে দিয়ে, ১৯৩০-এর দশকের শুরুর দিকে যিনি অবিভক্ত বাংলায় তুখোড় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। এই ধারায় তার দুই ছেলে আবদুস সাদেক ও আহমেদ আকবর সোবহান হয়ে ওঠেন ক্রীড়া অন্তপ্রাণ। বাংলাদেশ হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দলে খেলেছেন ১৯৬৯-৭০ সালে। পাশাপাশি ফুটবলও দুর্দান্ত খেলতেন তিনি। আর ঐতিহ্যবাহী আবাহনীর জন্মলগ্ন থেকেই তো সঙ্গী হয়ে রয়েছেন। অধিনায়কত্ব করেছেন আবাহনীর ফুটবল ও হকি দুই দলেরই। ছোট ভাই আহমেদ আকবর সোবহান পূর্ব পাকিস্তান যুব হকি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৯৬৭-৬৮ সালে। খেলা ছেড়ে অল্পবয়সে ব্যবসায় মনোযোগী না হলে তিনিও হয়তো বড় ভাইয়ের মতো ক্রীড়া তারকা হতেন। এই পারিবারিক ক্রীড়া ঐতিহ্যের পরম্পরা তো বৃথা যেতে পারে না। তাই পরের প্রজন্মে আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরের আবির্ভাব ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। বসুন্ধরা গ্র“প প্রথমে স্পন্সর হয়ে ক্রীড়াঙ্গনের সারথি হওয়ার পর গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের দায়িত্ব। গত ৩১ ডিসেম্বর ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে। পুরনো সংগঠকরা নতুন চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে শেখ রাসেলের রং বদলের প্রত্যাশা করছেন। আসন্ন ফুটবল মৌসুমে এই নেতৃত্ব বদলের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে শেখ রাসেলের মাঠের খেলায়। নতুন চেয়ারম্যান যে এরই মধ্যে শক্তিশালী ফুটবল দল গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।