Connecting You with the Truth

শেখ হাসিনা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ফেরি করে দেওয়া হবে -মতিয়া

motia chowdhuryস্টাফ রিপোর্টার:
শেখ হাসিনার সরকার পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকলে ফেরিওয়ালাদের মতো ফেরি করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। গত কাল দুপুরে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে ‘বায়োটিজম ক্রপস এন্ড ফুড সিকিউরিটি’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর দ্য একুইজিশান অফ এগ্রি-বায়োটিক এপ্লিকেশন (আইএসএএএ), বিএআরসি, বিএআরআই যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “২০০৯ সালে ভোট চাইতে গিয়ে বলেছিলাম, নৌকায় ভোট দেন, সারের পেছনে কৃষকের দৌড়াতে হবে না। সারই কৃষকের পেছনে দৌড়াবে। ২০১৪ সালে বলেছিলাম, নৌকায় ভোট দিলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব। সেটাই হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকলে বিদ্যুৎ ফেরি করে দিতে হবে।” এ সময় বিদেশি ফান্ডিং এজেন্সি বা ডোনারদের কৃষিখাতের উন্নয়নে আরঅ্যান্ডডিতে (রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) টাকা দেওয়ার আহ্বান জানান মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক ভালো ও বড় বড় বিজ্ঞানী রয়েছে। যাদের আবিষ্কার সারা পৃথিবীতে আলোড়িত হয়। সেই বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় রিসার্চ এর সরঞ্জামাদির অভাবে ধরে রাখতে পারি না। ফান্ডিং হলে তারা গবেষণার সুযোগ পাবে।” কৃষি বিজ্ঞানীদের বাংলাদেশকে গিনিপিগে পরিণত না করতে অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিদেশের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, গবেষণাগার থেকে আমরা প্রশিক্ষণ, জ্ঞান নেব।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকা ও রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করছে। তবে আলু রপ্তানিতে রাশিয়ার কিছু ফাইন্ডিংয়ের বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। বিটি বেগুন সমালোচকদের মন্ত্রী বলেন, “এসি ঘরে থাকবেন, ডাবল এসি গাড়িতে ঘুরবেন, বাজার ভরা খাবার চাইবেন আর বেগুনের পোকার জন্য কেঁদে ফিনিস হয়ে যাবেন তা তো হবে না। বিটি বেগুন অনুমোদনের সময় অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। আমরা দীর্ঘ গবেষণা করে দেখেছি যে বিটি বেগুন আমাদের জন্য আশীর্বাদ। বিটি কটন ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছে। অচিরেই বাংলাদেশ বিটি কটন চাষে যাবে বলে জানান মতিয়া চৌধুরী।” বিটি বেগুন বিষয়ে না জেনে পরিবেশবাদীরা দোকান খুলে বসেছে জানিয়ে মতিয়া বলেন, “পপকর্ন (ভূট্টা), কটন সিড ওয়েল খান আর বিটি বেগুন নিয়ে কথা বলেন!” খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রেখে সীমিত আকারে চাল রপ্তানি করা হচ্ছে। প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব আর দেশপ্রেম থাকলে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যেকোন সফলতা অর্জন সম্ভব।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আইসার (আইএসএএএ) প্রতিষ্ঠাতা এমিরিটাস সভাপতি ড. ক্লাইভ জেমস বলেন, ২০১৪ সালে ২৮টি দেশে প্রায় ১৮ মিলিয়ন কৃষক ১৮১.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বায়োটেক ফসল আবাদ করেছে। বায়োটেক ফসল চাষ করে কৃষক একদিকে ১৩৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে অন্যদিকে ৩৭ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহার (৫০০ মিলিয়ন কেজি) কমিয়ে ২৮ বিলিয়ন কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করেছে। সেমিনারে কৃষি সচিব ইউনুস রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মো. সা’দাত উল্লাহ, বিএআরসি চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, ডিজি ড. মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল প্রমুখ।

Comments
Loading...