শ্রীপুরের বাবা-মেয়ে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গত দু’দিন ধরে স্বামী ও সন্তানের লাশের অপেক্ষায় কান্না থামেনি অসহায় হতদরিদ্র পাগলিনী হালিমা বেগমের। তার চোখের পানিতে ভাসছে শ্রীপুর। কখন তার কাছে স্বামী ও সন্তানের লাশ আসবে সেই অপেক্ষায় চিৎকার করে শ্রীপুর থানায় বসে যাকে পাচ্ছেন তার কাছেই জানতে চাচ্ছেন। হালিমার দুই চোখে শুধু তার স্বামী ও সন্তানের লাশের জন্য কান্না। কখন তাদেরকে আনা হবে আর লাশ দাফন করা হবে। নিহতদের বাড়ীতে ও থানায় বিভিন্ন সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে হালিমার কাছে জিজ্ঞাসা করলে হালিমা কান্না কাটি করে বলে “আমার সন্তান ও স্বামী কোথায়? আমার স্বামী সন্তানের হত্যার বিচার হবেনা ? আমি কি করাম ? আমার পাশে কে থাকবে, আমার মেয়ে কই”। হালিমার এসব কথা শুনে সংবাদকর্মীরা চোখের পানিও ধরে রাখতে পারেনি।
এদিকে শ্রীপুরে বাবা-মেয়ে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় স্থানীয় মেম্বার আবুল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। রোববার বিকেলে হালিমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শ্রীপুর থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত মেম্বার আবুল হোসেনকে জি.আর.পি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও তার পুত্র মিথুনকে শ্রীপুর থানায় আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে শ্রীপুর থানার এস.আই কাউসার আহম্মেদ জানান।
বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় রোববার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সবুজ ঘটনাস্থল ও রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে কমলাপুর রেলওয়ে জি.আর.পি থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক জানান, বাবা-মেয়ে নিহতের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে কমলাপুর থানায় মার্ডার মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলস্টেশনের দক্ষিনপাশে আউটার সিগন্যালে শ্রীপুর থানা ও ইউপি মেম্বারের কাছে বিচার না পেয়ে হযরত আলী ও তার পালিত মেয়ে আয়েশা আক্তার একসাথে আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।