সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় এক যুবক গুলিতে নিহত হয়েছেন, যিনি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী ছিলেন বলে সংগঠনটি জানিয়েছে। মানিকছড়ি থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাভাধং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত উচিমং মারমা ওরফে বাবু (১৮) উপজেলার বাদনাতলী ইউনিয়নের মরাডুলু গ্রামের বালাসু মারমার ছেলে। স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি শফিকুল জানান, সকালে সন্ত্রাসীরা উচিমংকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে এসআই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মানিকছড়ি থানায় নিয়ে আসে। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (পিসিজেএসএস) দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ এর কেন্দ্রীয় প্রচার সেলের মুখপাত্র নিরন চাকমা তবে অভিযোগ নাকচ করে জেএসএস-এর সহ তথ্য প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বলেছেন, দলীয় কোন্দলের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। পাহাড়ে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের সংঘাত দীর্ঘদিনের। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে সন্তু লারমা সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বাদ দিলে ওই চুক্তির বিরোধিতায় গড়ে ওঠে ইউপিডিএফ। তারপর থেকে দুই সংগঠনের বিবাদে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে পাহাড়ে। পরে সন্তু লারমার বিরোধিতা করে জনসংহতি সমিতির একটি অংশ আলাদা সংগঠন (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা) গড়ে তোলে। তাদের সঙ্গেও সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন অংশের বিরোধ চলছে।