Connecting You with the Truth

সমাদৃত হচ্ছে সাশ্রয়ী ও টেকসই মাটির তৈরি রিং

রিং
যদি সিমেণ্টর তৈরি রিং সেফটি ট্যাংক বানানো হয় তাহলে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা থরচ পড়ে। সেখানে মাটির তৈরি রিং দিয়ে সেফটিক ট্যঙ্কে খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা

মোঃ ফারুক আহমেদ,মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার বিভিন্ন গ্রামের তৈরি মাটির রিং সমাদৃত হচ্ছে। নিজ জেলা ছাড়িয়ে আশেপাশের জেলাতেও বিক্রী হচ্ছে। সাশ্রয়ী ও টেকশয় হওয়ার কারনে সিমেণ্ট- বালির তৈরি রিং এর পরিবর্তে বেশীর ভাগ মানুষ বাড়ির পানি নিস্কাশন ও টয়লেটর জন্য এই মাটির রিং ব্যাবহার করছে।
রিং কারিগর মোঃ জুবায়ের মিয়া জানান,ইট তৈরি মতই রিং তৈরি প্রক্রিয়া।মাটি-পানি মিশিয়ে উপযুক্ত কাঁদা বানানো হয়। এরপর নির্ধারিত ছাচে রিং বানানো হয়।রোদে শুকিয়ে তা খোলায় পুড়িয়ে ব্যবহার উপযোগি করা হয়। মাগুরার রিং তৈরির কারিগরা জানান,বর্তমানে শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পানি নিস্কাশন ও টয়লেটের জন্য আলাদা সেপটি ট্যাঙ্ক তৈরি আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
বড় আকারের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক যদি সিমেণ্টর তৈরি রিং দিয়ে বানানো হয় তাহলে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা থরচ পড়ে। সেখানে মাটির তৈরি রিং দিয়ে সেফটিক ট্যঙ্কে খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা। অন্য দিকে সিমেণ্টের রিং ৮ থেকে ১০ বছরেই নোনা ধরে অকেজো হয়ে পড়ে। কিন্তু মাটির রিংয়ের স্থায়ীত্ব প্রায় ১০০ বছর।

তাই এখন বেশীর ভাগ বাসা বাড়িতে সিমেণ্টের রিংব বাদ দিয়ে মাটির রিং দিয়ে সেফটিক ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে মাগুরার তৈরি মাটির রিং। আর মাটির তৈরি রিং তৈরিতে ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক শ‘মানুষ এখন স্বাবলম্বী জীবন যাপন করছেন। মাগুরা সদরের বাইপড়া, শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল,কাদিরপাড়া,নোহাটা, গ্রামে গিয়ে চোখে পড়ে প্রতিটি খোলাতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কারিগরের ব্যস্ততা। পাশেই রাখা মাটির তৈরি রিং এর স্তুপ। কথা হয় কয়েক জন কারিগরের সাথে। প্রধান কারিগরকে প্রতিদিন ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা এবং প্রত্যেক সহকারীরা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ করে পেয়ে থাকে প্রতি দিন। এই খোলার মালিক জুবায়েব জানান,‘ছয় জন অংশীদার মিলে এই খোলাটা চালাচ্ছে দুই বছর। অংশীদার ও শ্রমিকরা মিলে সারা দিন মাটি দিয়ে রিং তৈরি করে দিনের বেলা রোদে শুকুয়ে রাতে খোলাতে পোড়ানো হয়। ব্যাপক চাহিদা থাকাই খোলা থেকেই নগদ টাকায় বিক্রি হয়ে যায় রিং। মৌসুম ছাড়াও সারা বছরের জন্য বড়তি রিং তৈরি করে রাখতে হয়।
যেখানে মাটির তৈরি প্রতিটি রিং মাটিতে পুতে খরচ পড়ে মাত্র ৭০-৭৫ টাকা।সেখানে সিমেন্টে রিং এ খরচ পড়ে
২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা।
মাগুরা কুকনা গ্রামের সেফটিক ট্যাঙ্ক তৈরির মিস্ত্রী মোঃমিলন ও মোঃজামির হোসেন, হাজিপুর গ্রামের রাজু অড়াইসাত গ্রামের আব্দুল্লাহ,নবেদ,মাগুরা হামিম মিয়াসহ অনেকে জানান,‘ মাগুরাতে সেফটিক ট্যাঙ্ক ও পানি নিস্কাশনের জন্য এখন সিমেণ্টের তৈরি রিং এর পরিবর্তে মাগুরাতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মাটির তৈরি রিং ব্যবহার হচ্ছে।

দোয়ারপাড়,পারনান্দোল বিদ্যুত অফিসের সামনে,মাগুরা আদর্শপাড়া,মগুরা ইটখোলাবাজার,মোহাম্মাদপু,শ্রীপুর ও শালিখার সিমেণ্টের রিং ব্যবসায়িরা জনান,এখন অগের চেয়ে ব্যবসা অনেক খারাপ কারন মাটির তৈরি রিং এর দাম অনেক কম যার কারনে এখন আর অগের মত অডার হয় না কিন্তু উৎপাদন থরচ অনেক বেশী ।

বিডিপি/মাওলা

Comments
Loading...