সম্প্রচার নীতি: আদালতের হস্তক্ষেপের ‘সময় আসেনি’
স্টাফ রিপোর্টার:
সদ্য প্রণীত সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের সময় আসেনি বলে মনে করেন হাই কোর্টের এক বিচারক। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের আদালতে শুনানির জন্য উঠলে বেঞ্চ এই মত দেয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক শুনানিতে বলেন, “এখানে অনেক সাংবিধানিক বিষয় জড়িত। আমরা আউট অব লিস্ট করে দিচ্ছি। আপনি নিয়মিত বেঞ্চে যান।” বেঞ্চের অপর বিচারক বলেন, “এটা আইন বা বিধিমালায় পরিণত হয়নি। এখনো প্রিমেচিউরড। অপেক্ষা করুন।”রিটকারী মো. ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সশস্ত্র বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় অথবা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায়- এমন বিষয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে টেলিভিশন ও রেডিওর জন্য গত ৮ অগাস্ট এই নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। গত ৪ অগাস্ট মন্ত্রিসভা এই নীতিমালা অনুমোদন করার পর থেকেই বিএনপি ও সাংবাদিকদের একটি অংশ এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই নীতিমালার সমালোচনায় বলেছে, এর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাই নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারের দাবি, ‘কণ্ঠরোধের’ জন্য নয়, এই নীতিমালা করা হয়েছে গণমাধ্যমের ‘কল্যাণের’ জন্য। এই নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ অগাস্ট উচ্চ আদালতে যান ইউনুস আলী আকন্দ। ওই নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চান তিনি। পাশাপাশি নীতিমালার বদলে আদালতের কাছে একটি ‘গাইডলাইন’ও চাওয়া হয় ওই রিটে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তথ্য সচিবকে ওই রিটে বিবাদী করা হয়।