সময়টা কোহলির, কিন্তু ভারত!
স্পোর্টস ডেস্ক:
অনেকেই বলছে, নাহ, এবার ভারতকে দিয়ে হবে না। তাদের জন্য বলছি। একটু দাঁড়ান। আগে পাঁচ মিনিট চিন্তা করুন। তারপর মন্তব্যটা করুন। ভারত বিশ্বকাপ ধরে রাখার মতো দল নয়-এমনটি কেন বলছেন। হ্যাঁ, লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার নেই। নেই গত বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক অল রাউন্ডার যুবরাজ সিং। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে জ্বলে ওঠার মতো পেস ব্যাটারি না থাকতে পারে তাদের। তবে দীর্ঘ ব্যাটিং লাইনের কল্যাণে শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন দেখতেই পারে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। কারণ যতদূর মনে হচ্ছে ওখানকার উইকেটগুলো ব্যাটসম্যানদের হতাশ করবে না। ভারতের আশার ধন বিরাট কোহলি। তার মতো বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান দলে থাকা মানে অধিনায়কের বুকের পাটা ৪ ইঞ্চি বেড়ে যাওয়া। ওয়ানডেতে এরই মধ্যে ২২টি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। তাকে তুলনা করা হচ্ছে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে। বাংলাদেশ যেমন সাকিবের দিকে তাকিয়ে, আর ভারত তাকিয়ে কোহলির দিকে। কোহলির সেই প্রত্যাশার প্রতিদান দিবেন বলেই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৭ রান করে সেটা জানানও দিয়েছেন ভারতের এ নির্ভরতার প্রতীক। আরেক ডেঞ্জারম্যান হলেন সুরেশ রায়না। প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন এ মিডল অর্ডার। কঠিন সময়ে ম্যাচ বের করে আনার মতো সাহস আর হিম্মত দুটোই পুরোপুরি আছে তার। বেশ কয়েক বছর হলো তিনি ভারতের সেরা ম্যাচ উইনার। রান পাচ্ছেন শেখর ধাওয়ানও। ফাস্ট এবং বাউন্সি উইকেটে তার দুর্নাম থাকলেও সেটা যেন কাটিয়ে উঠেছেন। গত কয়েক বছর ধরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন রোহিম শর্মা। পরের ম্যাচগুলোতে তার জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় ভারত। ভারতের সবচেয়ে প্লাস পয়েন্ট হলেন অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি নিজে। ক্যাপ্টেন্সিটা ভালো বোঝেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে শক্ত হাতে হাল ধরতে তার মতো স্পেশালিস্ট বিশ্বে দ্বিতীয় জন কে। প্রথম বিশ্বকাপ জিতে এরই মধ্যে হয়ে গেছেন কিংবদন্তি। এবার কি নিজেকে আরেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন ভারত অধিনায়ক। ব্যাটিংই ভারতের মূল ভরসা। তাদের দুর্বলতার জায়গা হলো বোলিং। বোলারদের জন্য শতকোটি ভারতীয় নিশ্চয়ই ঈশ্বরকে ডাকছেন। অবশ্য প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং নেহাত খারাপ করেনি ভারত। যে পেস আক্রমণ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই সেটা অবশ্য ভালোই হয়েছে। মোহাম্মদ সামি দারুণ বোলিং করেছেন। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মূল কাজটি সারেন পশ্চিমবঙ্গের এ ফাস্ট বোলার। ভারতীয় বোলিংয়ের মূল ভরসা তিনিই। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচেও।