সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল অপরাধীদের ব্যাপারে কঠোর: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তাঁর সরকার অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। কিন্তু যারা প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চায় তাদের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠিন।
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনেক নির্যাতিত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ডের উপর হামলায় জড়িত কাউকে আশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ডের ৯ সদস্যের হত্যায় জড়িত কোন অপরাধীর স্থান বাংলাদেশে হবে না। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী কোন দেশের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকা-ের জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সুবিধাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের সীমান্ত খুলে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ঢাকায় মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পরিস্থিতি যাতে ঘোলাটে না হয় সে ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার তার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মানবতার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশে যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা-ের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। ’
তিনি বলেন, সরকার বর্ডার গার্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে সাম্প্রতিক মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ডের ওপর হামলায় জড়িত অপরাধীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ৯ সদস্যের হত্যার সঙ্গে অপরাধীরা সেদেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও হাজারো মানুষের সমস্যার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, এ ধরনের কোন অপরাধী যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিয়ে থাকে তাহলে তাদের গ্রেফতার করে শিগগিরই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে।