Connecting You with the Truth

সাইদুর এবং তার ছেলেকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল জেএমবির

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে কারাবন্দি জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) আমির মাওলানা সাইদুর রহমান এবং তার ছেলে শামীমকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছিল জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির আবু তালহা ফাহিম ওরফে পাখি। এছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনার ওপরও হামলার পরিকল্পনা করছিল জেএমবির পলাতক সদস্যরা। আবু তালহা ফাহিম ওরফে পাখি জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের ছোটো ছেলে।

মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।  তিনি জানান, সোমবার উত্তরার একটি মেস থেকে জেএমবির শীর্ষ ৬ নেতাসহ আট জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।  গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন,  জেএমবির আমিরের ছেলে আবু তালহা ওরফে পাখি, শফিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন, ইমদাদুল হক, রফিক আহমেদ ওরফে রয়েল, মো. মোস্তফা, মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ও আলী আশরাফ রাজিব।

সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইটি শাখা এবং ডিবি উত্তরের একটি দল যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করেন। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই, লিফলেট, জিহাদ প্রশিক্ষণের ভিডিও ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এর আগেও তারা এ ধরনের পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়েছিল।

আবু তালহা ওরফে পাখি পাখি জানিয়েছেন, তার কারাবন্দি বাবার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন তিনি। বাবার অবর্তমানে তিনিই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন এবং সংগঠনকে পুনর্গঠন করছেন।

তিনি গোয়েন্দাদের জানান, তাদের পরিকল্পনা ছিল কারাবন্দি তার বাবা ও ভাইকে পুলিশের ওপর হামলা করে যেভাবেই হোক মুক্ত করা।

গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যরা জানান, বাগমারার ঘটনা নিয়ে তারা একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন। সেটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তারা। ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়েছে, তারা ইসলামের জন্য কাজ করেন কিন্তু তাদের এ মহৎ উদ্দেশ্যকে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে নস্যাৎ করে। তাদের উপর হামলা করে পুলিশ ভুল কাজ করছে বলে ভিডিওতে তুলে ধরা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম সিলেট বিভাগের দায়িত্বে, রুহুল আমিন ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে, ইমদাদুল হক ছিলেন ময়মনসিংহ শহরের দায়িত্বে, রফিক সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ ও সদস্যদের খাবার সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। আর সাখাওয়াত ছিলেন সংগঠনের আইটি বিশেষজ্ঞ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআই এবং আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তারা।

মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ময়মনসিয়হের ত্রিশালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের সেই ঘটনার সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ

Comments
Loading...