সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাড়ি ভাঙচুর-লুট-অগ্নিসংযোগ
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাড়িতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।
এর আগে হামলা ও ভাঙচুরের পর টিনশেড দালান ঘরের চাল খুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এছাড়া সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অব্দি জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ও অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া জেলার একাধিক থানা ভবন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে উত্তেজিত জনতা।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবার পানিয়ারূপ গ্রামে আইনমন্ত্রীর বাড়ির টিনশেড দালান ঘর ও দোতলা নতুন ভবনে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর করার পর মালামাল লুট করা হয়। মালামাল লুটের পর তার বাড়ির টিনের চালা পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়। পরে অগ্নিসংযোগ করে সবকিছু পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর জেলার সব এলাকায় ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল বের করে। এসব মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীদেরও অংশগ্রহণ ছিল। সে সময়ে এসব হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বাসভবনেও ভাঙচুর করার পর আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলা চালানো হয় আখাউড়া পৌরসভা কার্যালয়েও।
একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং প্রতিটি অফিস কক্ষে লুটপাট চালানো হয়। এছাড়া আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলুর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা সদরে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর মৌলভীপাড়ার বাসভবনে হামলা ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভনের সরকারপাড়ার বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা এবং নবীনগর থানায়ও হামলা ও ভাঙচুর চালায়। থানায় রক্ষিত আসবাবপত্র, টিভি-ফ্রিজসহ সব মালামাল লুট করে।
জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বশেষ খবর জানতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।