সালথায় বাল্য বিবাহ বন্ধে প্রশাসন নিরুপায়!
সালথা থেকে দীপক মন্ডল ঃ
ফরিদপুরের সালথায় বখাটেদের উত্ত্যক্তে বাল্য বিয়ে বন্ধে প্রশাসন নিরুপায় হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি এমন তিন বাল্য বিয়ে বন্ধে উদ্যোগ নিয়েও অবিভাবকদের কূটকৌশলে একের পর এক এ সব বিয়ে বন্ধে নিরুপায় হয়ে পড়ে প্রশাসন। এ সব ঘটনায় বিয়ে বন্ধ করতে যাওয়া প্রশাসনের লোকজনের সামনে অবিভাবকরা বিয়ে বন্ধের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে গোপনীয়তার সাথে নিবন্ধনবিহীন এ সব বিয়ে সম্পন্ন করে বর-কনের অবিভাবকরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বখাটেদের উত্ত্যক্তে ১০ ডিসেম্বর গোপীনাথপুর, ২৫ ডিসেম্বর কুমারপট্টি ও ২৯ ডিসেম্বর খর্দলক্ষনদিয়া গ্রামে তিন স্কুলছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের প্রস্তুতি চলাকালে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এ সব বাল্য বিয়ে বন্ধে বাঁধা দেয়। এ সময় বর-কনের অবিভাবকরা প্রশাসনের লোকজনের সামনে লোক দেখানো বিয়ে বন্ধ করে। পরে অবিভাবকরা অতিগোপনে প্রশাসনের লোকজনকে এড়িয়ে এ সব বিয়ে সম্পন্ন করে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কনের অবিভাবকরা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার এ সব কিশোরীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গোপনে নিবন্ধনবিহীন এ বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ডালিয়া মৌসুমী খান বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে এ সব বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সামনে বর-কনের অবিভাবকরা বিয়ে বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। পরে গোপনে বিয়ে দিয়েছেন কিনা তা জানি না।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বাস রাসেল হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাবস্থা নিয়েছি। গোপনে বিয়ে হলে আমাদের করার কিছু নেই।