সালথায় হত্যা মামলার বাদীর বাড়িতে আগুন, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা
হারুন-অর-রশীদ,ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথায় লিপি হত্যা মামলার বাদী মো. শাহজাহান মাতুব্বরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আসামীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামে আগুন দেয়ার এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুনে শাহজানের ভাতিজা শাহিদ মাতুব্বরের একটি গরুর গোয়ালঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আসামীদের ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বাদীর পরিবার। এ দিকে আলোচিত লিপি হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।
লিপি বেগম হত্যা মামলার বাদী মো. শাহজাহান মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটার পর থেকে মাঝে মাঝেই বিভিন্নভাবে আমাকে হত্যার হুঁমকি দিয়ে আসছে আসামীরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার গভীর রাতে আসামী রাসেল খালাসী, শাহিন হাওলাদার, কামরুল খালাসী ও জব্বার খালাসীসহ কয়েক জন আমার বাড়িতে এসে আমাকে খোঁজাখুজি করে। আমাকে না পেয়ে তারা ফিরে যওয়ার সময় আমার ঘরের পাঁশে থাকা একটি পাট-কাঠির পালায় আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে আমার ভাতিজা শাহিদের একটি গরুর গোয়াল ঘর পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীদের ধাওয়া দিলে তারা পাঁলিয়ে যায়। এ ঘটনা পর ভয়ে আমরা সবাই সারা রাত জেগে ছিলাম। এখনও আতঙ্কের মধ্যে আছি।
আসামীরা দিন-রাত ২৪ ঘন্টা আমার বাড়ির আশ-পাঁশ দিয়ে ঘুরা-ফেরা করে অথচ পুলিশ তাদের ধরে না। যখন আসামীরা একটু গা ঢাকা দেয় পুলিশ তখন তাদের বাড়িতে এসে খুঁজে। এভাবে কি আসামী ধরা যায় ? মামলার হওয়ার পর মাত্র একজন আসামী ধরেছে পলিশ। সে আসামী এখনও জেলে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহীম মেম্বারের সহযোগিতার কারণে আসামীরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একের পর এক এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। এর আগেও এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিল্লুর রহমানের উপরে হামলা করে এই আসামীরা।
লিপি হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিল্লুর রহমান বলেন, লিপি হত্যা মামলার বাদীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পাঁলিয়ে যায়। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ওরা এলাকায় আসে বলে আমরা খবর পাই। কিন্তু আমরা ওদের ধরতে প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই ওরা পাঁলিয়ে যায়।
উলেখ্য গত ২৮. ০৬. ২০১৫ সালে লিপি বেগম হত্যা করে পাটক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে দূর্বৃত্তরা।