আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ:
চলতি মাসেই সিআইএ’র মহাপরিদর্শক ডেভিড বাকলে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথি নিয়ে সিআইএ’র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়টি তদন্ত করেছিলেন তিনি।
৩১ জানুয়ারি থেকে বাকলে’র পদত্যাগ কার্যকরী হবে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সিআইএ।
বিবৃতিতে “বেসরকারি খাতে যোগ দিতে বাকলে সিআইএ ছাড়ছেন” বলে জানানো হয়েছে।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাপরিদর্শক হিসেবে সিআইএ’র অভ্যন্তরীণ তদন্তকারীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
তার এই পদত্যাগের সঙ্গে রাজনীতি বা তিনি যে সব বিষয় নিয়ে তদন্ত করেছেন সেসবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে সিআইএ ও কংগ্রেসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনকারীরা পদত্যাগের জন্য বাকলের এ সময়টিকে বেছে নেয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের নেতা ক্রিস্টোফার আন্দ্রেজ বলেছেন, “সিআইএ’র এই মহাপরিদর্শক সেই অল্প কয়েকজনের একজন যিনি সিআইএ’কে জবাবদিহিতায় বাধ্য করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এমন এক সময় এ কাজ করেছেন যখন এ কাজ যাদের করার কথা সেই হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের অনেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ওপর নজরদারী করার প্রতিষ্ঠান ‘প্রজেক্ট অন গভর্নমেন্ট ওভারসাইট’র নির্বাহী পরিচালক ড্যানিয়েল ব্রাইয়ান বলেছেন, “সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটিকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টাসহ সিআইএ’র অনেকগুলো গুরুতর অনিয়ম তুলে ধরেছিলেন বাকলে। কিন্তু এসবের প্রতিকার না হওয়া ও এরপর এত তাড়াতাড়ি তার চলে যাওয়া সত্যিই সঙ্কটজনক।”
সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির মেয়াদ ফুরানো চেয়ারম্যান সিনেটর ড্যানিয়েল ফিয়েনস্টাইন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর “ভবিষ্যৎ নির্যাতন রোধ করার জন্য’ বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলেন। এসব সুপারিশে সিআইএ’র মহাপরিদর্শকের ক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশও ছিল।
কিন্তু এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই পদত্যাগপত্র পেশ করলেন বর্তমান মহাপরিদর্শক বাকলে।