সিরিয়ায় সামরিক অভিজানের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিমান যোগে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তবে ইরাকে চলমান সীমিত পর্যায়ের বিমান হামলা ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ আরো বিস্তার করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
ইরাকে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও বেসামরিকদের আইএস’র সরাসরি হুমকি থেকে রক্ষার জন্য দেশটিতে সীমিত পর্যায়ের সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নেয়া এই পদক্ষেপ আরো বিস্তৃত করার সম্ভাবনা বাতিলও করেননি দেশটির কর্মকর্তারা।
গত সপ্তাহে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেছিলেন, আইএসকে রুখতে হলে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী “বিলুপ্ত সীমান্তের উভয় পাশে” অভিযান চালাতে হবে।
এ বিষয়ে সম্ভাব্য সকল উপায়গুলো বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে সোমবার নিশ্চিত করেছেন জেনারেল ডেম্পসির মুখপাত্র কর্নেল এড থমাস।
এ বিষয়ে “যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মধ্যপ্রাচ্যের সামর্থ্যবান মিত্রদের নিয়ে সামরিক জোট” গঠন করার বিষয়টিও জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“সিরিয়া এবং ইরাক উভয় জায়গায় আইএসআইএস’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় কমান্ড (ডেম্পসি) বিমান হামলাসহ সম্ভাব্য উপায়গুলো কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে,” আইএস এর পুরনো নাম ব্যবহার করে বলেন থমাস।
“আমাদের বাহিনীগুলো আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে মিলিতভাবে আইএসআইএস’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এমন প্রস্তুতিই নেয়া হচ্ছে,” বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ার ওপর ড্রোনসহ গোয়েন্দা ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির অপর দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় আইএস’র ওপর বিমান হামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এদের একজন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সহসাই কোনো অভিযান শুরু করছে না বলে নিশ্চিত করেছেন এদের সবাই।