Connecting You with the Truth

সিরিয়ায় হাসপাতালে হামলা নিহত ৫০, অস্ত্রবিরতির আশা ক্ষীণ

stream_imgআন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতির আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার অস্ত্রবিরতি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ফ্রান্স হাসপাতালে হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, অস্ত্রবিরতি যে বাস্তবায়ন হচ্ছে তা প্রমাণ করা ‘কঠিন’।জাতিসংঘ বলেছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে কমপক্ষে পাঁচটি মেডিকেল স্থাপনা ও দুটি স্কুলে বোমা হামলায় শিশুসহ প্রায় ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, বিমান অভিযানের ফলে আন্তর্জাতিক আইন লংঘিত হয়েছে এবং সিরিয়ায় পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসান প্রচেষ্টায় ‘ছায়া ফেলেছে’। এদিকে ফ্রান্স বলেছে, হামলা ‘যুদ্ধাপরাধের’ শামিল।ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যাঁ মার্ক আইরাওত বলেন, সিরিয়ায় হাসপাতালে দেশটির শাসক বা তার সমর্থকদের হামলা গ্রহণযোগ্য নয় এবং অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে দুই বেসামরিক হাসপাতালে হামলা হয়েছে। এর একটি দাতব্য সংগঠন মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) পরিচালিত এবং অপরটি বিদ্রোহীদের দখলকৃত আজাজ নগরীতে অবস্থিত।রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সহায়তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পোতে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার লোক আলেপ্পো থেকে পালিয়ে তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আসাদ সরকার ও তাদের সমর্থকেরা এ হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে আসাদ সরকারের অব্যাহত বর্বরতা বন্ধের আগ্রহ বা সক্ষমতা রাশিয়ার আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
এমএসএফ নিশ্চিত করেছে, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিবে তাদের একটি হাসপাতালে হামলা করা হয়েছে। এতে সাত জন নিহত ও কমপক্ষে আট জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরাও নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।তবে মস্কোয় সিরিয়ার দূত রিয়াদ হাদাদ বলেছেন, মার্কিন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ওই হাসপাতাল।
এদিকে এ ধরণের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের কারণে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ দেশব্যাপী অস্ত্রবিরতি কার্যকরের চুক্তির বস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দিন আগে চুক্তিটি হয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়ন করা ‘কঠিন’।

Comments