Connect with us

বিবিধ

সুইডেনে নবজাত শিশুর পুরুষাঙ্গ সমস্যা বাড়ছে ক্রমশ, কারণ বিজ্ঞানীদের অজানা

Published

on

it-2
অন্যান্য ডেস্ক:
সুইডেনে বিগত ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি ১০০০ হাজার নিউ বর্ণ বেবির মধ্যে ৮ জন শিশুই পেনিসে মারাÍক সমস্যা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে এবং বিজ্ঞানীদের কাছে এর কারণ এখনো অজানা। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নিউ বর্ণ বেবির অধিকাংশই পুরুষাঙ্গ বা পেনিসে মূত্র নালির পথ বন্ধ অথবা পেনিসের মুখ একেবারে বন্ধ। আবার কখনো কখনো টিউবে বা ইউরেথ্রা যেখান থেকে মূত্র নালির ড্রেন সেখানে বন্ধ অবস্থায় জন্ম নেয়। এমনকি একেবারে অণ্ডকোষ থেকে পেনিসের খোলা অংশের মাঝামাঝি স্থানে বাঁকা অবস্থায় নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করে। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে হাইপোসপাডিয়াস- এই ধরনের সমস্যা কেবলমাত্র সার্জারির মাধ্যমে সমাধান করা যায় এবং পরবর্তীতে খতনার মাধ্যমে পেনিসের বন্ধ চামড়ার অতিরিক্ত অংশ ফেলে দেয়া যায়। রিসার্চাররা ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ডাটা এনালাইসিস করে দেখেছেন, যেখানে সুইডেনে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে হাজারে ৪.৫ নবজাতক শিশু জন্ম গ্রহণ করতো, সেখানে ১৯৯০ সালের পর থেকে এই সংখ্যা দ্বিগুণ পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে। স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের এক্সপার্টরা অবশ্য এর সমস্যার কারণ হিসেবে ধারণা করছেন, পিতা-মাতা যারা আইভিএফ ট্রিটম্যান্ট গ্রহণ করেন, লো-বার্থ ওয়েট, টুইনস জন্মদানে সক্ষম- সেই সব ক্ষেত্রেই এই সমস্যার কারণ হিসেবে আপাতত: তারা নিরূপণ করছেন। স্থানীয় পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এখনো এর সঠিক কারণ আগে কিংবা বর্তমান সময়েও নিরূপণ করতে পারেননি কি কারণে এমন করে নবজাতক শিশুর জন্ম হচ্ছে। ব্রিটেনের এনএইচএসের মতে, হাইপোসপাডিয়াস বা হিপোসপাডিয়াস সাধারণত তিনটি যৌথ কারণের ফল। যেমন মিটাস- যাকে প্যাসেজ বলা হয়ে থাকে, মূত্র নিঃসরণের হোল প্যাসেজ- যা দিয়ে মূত্র বেরিয়ে আসে, আর টিউব এবং ফোরস্কিন(যা মূলত খতনার মাধ্যমে ফেলে দেয়া হয়) পেনিসের পেছনের অংশে আটকে থাকে, যা সামনের দিকে থাকার কথা এবং পেনিস বেনড হয়ে যায় যে কারণে- এই কারণগুলোর সমন্বয়ে হিপোসপাডিয়াস বলেই এনএইচএস থেকে ধারণা দেয়া হয়েছে। তবে এটা জীবন সংকটের মতো কোন কারণ নয়। কেননা সার্জারির মাধ্যমে এটা সারিয়ে তোলা যায়, এমনকি ফোরস্কিনও খতনা ও আধুনিক সার্জারির মাধ্যমে ফেলে দিয়ে পেনিসকে যথাযথ অবস্থানের মাধ্যমে স্বাভাবিক করা যায়। তবে এর মাধ্যমে পশ্রাব করা কিংবা পশ্রাবের সময় ও সেক্স লাইফে ব্যাঘাত হতে পারে- যা গবেষণায় তারা পেয়েছেন। ড্যাগেন নিউজ পেপারে নরডেনভাল ইন্সটিটিউটের আনা স্কারিন বলেছেন, হরমোনস মামলস এবং কেমিক্যালস ইন্টার ফেয়ার হয়তো এই হাইপোস্পপাডিয়াসের সাথে সম্পর্কিত হলেও পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই এনডকক্রিন ডিসরাপ্টার (কেমিক্যাল সম্পর্কীয়)মূলত মানুষের তৈরি- মানুষেরাই এ জন্য দায়ী। কেননা এর সাথে পেসটিসাইডস(হার্মফুল অর্গানিজম), ফুড কন্টামিনেশন, পার্সোনাল কেয়ার ইত্যাদি জড়িত। তাছাড়া এই কেমিক্যালস এবডোমিনাল প্রবলেম সহ ব্রেস্ট ক্যানসারেরও সহায়ক বলে হো-জানিয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *