সোনাক্ষীকে বাঁচানো অর্জুনের লক্ষ্য
বিনোদন ডেস্ক :
নতুন বছরে বলিউডের প্রথম বড় রিলিজ ছিল বনি কাপুরের ‘তেভর’। গত বছরের হিট হিরো ছিলেন অর্জুন কাপুর। ‘গুন্ডে’, ‘থ্রি-স্টেটস’ আর ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ বক্স অফিসে সাফল্য থেকে ক্রিটিকদের প্রশংসা সবই পেয়েছেন। সোনাক্ষী সিনহার বক্স অফিস সাফল্যও চূড়ান্ত। সুতরাং এই নতুন জুটি দর্শকের বিচারে কী রায় পায়, তা জানতে উৎসুক ছিল বক্সঅফিস। প্রথমদিনের ব্যবসায় নায়ক অর্জুন হতাশ করেননি প্রযোজক বাবা বনি কপুরকে। ৩০ কোটি বাজেটে তৈরি ‘তেভর’ প্রথমদিনে ব্যবসা করল ৮-১০ কোটি। ছবির গল্প অবশ্য তেমন নতুন কিছু নয়। প্রেমিকার জন্য ভিলেন পেটানো বলিউডি সিনেমায় সেই আটের দশক থেকেই। আগ্রার ছেলে পিন্টু (অর্জুন) এ ছবিতে প্রেমিকা রাধিকার (সোনাক্ষী) জন্য তাই করে। রাজনীতিক নেতা গজেন্দরের (মনোজ বাজপেয়ী) কুনজর থেকে নায়িকাকে বাঁচানোই অর্জুনের লক্ষ্য। ছবির গল্পে একেবারে টিপিক্যাল বলিউডি নাইন্টিজ ফর্মুলার ছাপ। খালি নায়ক-নায়িকার জুড়িটাই নতুন এই যা। অর্জুন কাপুর যেন অনেকটাই পুরোনো ছবিতে সালমান খানের পুরোনো মতো। সোনাক্ষী সিনহারও ভালো প্রেমিকা হওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার নেই। তার প্রেমের অভিনয়ের জেরেই ছবির গল্প বহু জায়গায় দানা বেঁধে উঠতে পেরেছে। শুধু দুষ্টু লোকের চরিত্রে আরও একবার মুগ্ধ করবেন মনোজ বাজপেয়ী। তবু প্রথমদিনের ব্যবসা ইঙ্গিত করছে, দর্শক নতুন বোতলে পুরোনো মদ ভালোই পছন্দ করেছেন। ছবির প্রধান ইউএসপি বলতে পরিচালক অমিত শর্মার মেকিং, প্রোডাকশন ডিজাইন। এবং অর্জুন-সোনাক্ষী জুটির ফ্রেশনেস। দর্সকদের ‘গুন্ডে’র ভালোলাগার ফ্যাক্টরগুলোকে নিয়েই আবার একবার একসপেরিমেন্ট করতে চাইলেন পরিচালক। ফ্যাশন হোক সিনেমায়, রেট্রোর চলই নাকি এখন বেশি। ফারহা খানও সাফল্য পেয়েছেন এই মন্ত্র কাজে লাগিয়ে। নবাগত পরিচালক চেনা পথেই হেঁটেছেন। ‘তেভর’- এর আশপাশে কোনও বড় সিনেমার মুক্তিও নেই। সুতরাং বাবাকে সাফল্য পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্য সম্ভবত সহজেই ভেদ করতে পারবেন অর্জুন। কিন্তু টিপিক্যাল রোমান্স দেখতে যারা পছন্দ করেন না, তাদের মাথাব্যথার কারণ হলেও, বলিউড তার রাস্তা থেকে সরেনি। কেননা ছবির মধ্যে বলিপাড়ার তরুণ নায়ক তো বলেই দিচ্ছেন, ‘যো চানে খাতে হ্যায় ও বাদাম কি নেহি মারতে’।