সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করলো আওয়ামী লীগ নেতা, থানায় মামলা!
এম.আর মিলন:
নগরীর খুলশী থানার ঝিলের পাহাড় এলাকায় নিজের সৎ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির নাম সাথী আক্তার (২০)। আর অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম আবু-বক্কর (৭০)। তিনি ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের খ ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এলাকায় তিনি চসিক সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরনের অনুসারী হিসেবে বেশি পরিচিত। এই ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত আবু বক্কর।
থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বয়স ২০ বছর। সে দীর্ঘদিন যাবৎ তার মা সহ তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী আবু বক্করের সাথে ঝিলের পাহাড় এলাকায় বসবাস করত। বসবাসের এক পর্যয়ে মেয়েটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে তারই সৎ বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্করের। অভিযুক্ত আবু বক্কর তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য মেয়েটিকে ধর্ষণ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে মেয়েটির মা বাসায় না থাকার সুযোগ নিয়ে সে মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
একাধিকবার ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মেয়েটি বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে তার আপন বাবা মো: সিরাজের কাছে চলে যায়। মেয়েটি বর্তমানে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় অপমানে ও লজ্জায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি গত মঙ্গলবার (১৪ই মে) আত্মহত্যা চেষ্টা করে। আর সেদিন রাতেই বিষয়টি পুরো এলাকায় জানাজানি হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযোগ আবু বকর আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তকে গ্রেপ্তারে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, একজন ধর্ষকের পরিচয় যাই হোক, অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ খান।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত আবু বক্কর গত বছরের শেষের দিকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হলে তাকে দল থেকে থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু জামিনে আসার পর তাকে আবারও ইউনিট আওয়ামী লীগের পদে পূর্ণবহাল করা হয়।
একজন আওয়ামী লীগ নেতার নিজের সৎ মেয়েকে ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসার বিষয়ে জানতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদের আওয়ামী লীগ করার কোন অধিকার নেই আর পদে থাকার তো প্রশ্নই আসে না!
তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।