Connecting You with the Truth

হালুয়াঘাটে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে গণস্বাক্ষরলিপি পেশ

Saroklipi Pashক্রাইম রিপোর্টার, হালুয়াঘাট: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিংয়ে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত গ্রাহকেরা যে কোন সময় বিদ্যুৎ অফিসে হামলা করতে পারে। এ আশংকায় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। প্রতি মাসে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন ৭০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া নতুন করে অনেক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। যদিও বা প্রতিটি গ্রাহকের নিকট হতে অনিয়ম, অনৈতিকভাবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় সাড়ে পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও সরবরাহ মিলছে মাত্র দুই মেগাওয়াট।
এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছাড়াও প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সব ধরনের কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দিনে ও রাতে প্রচন্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে নানা শ্রেণির বয়সের মানুষ। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়া-শোনাও ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বুঝতে পারছেন যে, বিদ্যুৎ গ্রাহকেরাও ক্ষিপ্ত। এ অবস্থায় বিদ্যুতের প্রয়োজনে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভয়ে ভয়ে অফিস করছেন।
স্থানীয় কার্যালয়ের অজুহাত, এলাকায় গাছ পড়া থেকে শুরু করে নানা কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। ত্রুটিযুক্ত স্থান খুজে বের করে তার সংস্কার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। পুরাতন/নতুন গ্রীড লাইনে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তারপর জাতীয় সঞ্চালন বিদ্যুৎ লাইনের ক্যাপাসিটি না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য এ দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এ দুরবস্থার দায়ভার সাধারণ গ্রাহকের উপর পড়ছে। আরো আছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, লাইন সার্ভিস চার্জ, প্রতিটি লাইন সংযোগ দিতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা ঘোষ দিতে হয়। ইত্যাদি বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির দুরবস্থা যদি সাধারণ গ্রাহকের উপর চাপ পড়লে, এক সময় গ্রাহকেরা চাপ সহ্য করতে না পেরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে কখন কি করে বসে তা বুঝা মুশকিল। কাজেই সময় থাকতে এর প্রতিকার করা প্রয়োজন।
গত ২২ আগষ্ট মহিলা পরিষদসহ উপজেলার সর্বসাধারণ মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ লোড শেডিং এর কারণে প্রতিবাদ মিছিলসহ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে এবং মিছিলসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারক লিপি পেশ করেন। পুনরায় ২৮ আগষ্ট হালুয়াঘাট পৌরবাসী গণ স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে শান্তিকামী মানুষের পক্ষে বিভাগীয় প্রেসক্লাব হালুয়াঘাট শাখার উদ্যোগে অতিরিক্ত লোড শেডিং এর প্রতিবাদে স্বাক্ষরলিপি পেশ করেন। স্বারকলিপি পেশকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মি. জুয়েল আরেং, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলালুজ্জামান সরকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) শিহাব উদ্দিন আহাম্মেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবিরুল ইসলাম বেগ, অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মিঞা সহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব হালুয়াঘাট শাখার সাংবাদিকবৃন্দ।

Comments
Loading...