হেযবুত তওহীদের নারী কর্মীদের উপর হামলা, প্রধান আসামী রুবেল গ্রেফতার
নরসিংদীর রায়পুরায় হেযবুত তওহীদের নারী কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় প্রধান আসামী রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হাসনাবাদ বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, ঈদের দ্বিতীয় দিন গত ১৮ জুন রায়পুরার হাসনাবাদ বাজারে পত্রিকা বিক্রি করতে যান হেযবুত তওহীদের কর্মী জোবাইদা খাতুন, আয়েশা আক্তার খাদিজা ও শান্তনা আক্তার নিপা। পত্রিকা বিক্রয়কালে গোলজার মেম্বার মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার রুবেল মিয়াসহ অন্তত ১০-১২ জন তাদের উপর আক্রমন চালিয়ে পত্রিকা কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। তারা নারীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে এবং মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ভুক্তভোগীদের প্রতিরোধের মুখে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তাদেরকে এলোপাথারী মারধর, লাথি, কিলঘুষি মারে এবং প্রচন্ড আঘাত করে মাথা থেতলে দেয়।
এদিকে এ ঘটনায় ওই দিনই রায়পুরা থানা মামলা দায়ের করেন জোবাইদা খাতুনের স্বামী মোকসেদ আলী। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুবেল নামের আসামীকে গ্রেফতার করে। এদিকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার দিনভর থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আসামীদের আত্মীয়-স্বজনেরা নানাভাবে আসামীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায় এবং অনেক নাটকীয়তার জন্ম দেয়। কিন্তু পুলিশের অনমনীয় এবং দৃঢ় মনোভাবের কারণে সেটা করতে ব্যর্থ হয় তারা।
আসামীকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে আজ শনিবার জানিয়েছে রায়পুরা থানা পুলিশ। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোকসেদ আলী জানান, পুলিশ প্রশাসন যদি অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে থাকে তবে কোন আসামী পার পাবে না। এই আসামীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীদের কাছে একটা শক্ত বার্তা যাবে। এরা এদেশে তারা যা খুশি তা করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।