Connect with us

জাতীয়

৫০ কোটি টাকার ইউরেনিয়াম সদৃশ বস্তুসহ আটক ১১

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর বনানীতে পাচারকারী চক্রের হাত থেকে ৫০ কোটি টাকার ইউরেনিয়াম জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচারকারী চক্রের ১১ সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। তারা হলেন মো. ময়নাল হোসেন সাগর (৪৫), মো. হুমায়ুন কবির (৪৮), মো. কাইয়ুম চৌধুরী (৫৪), মো. কায়েশ আহম্মেদ (৫৪), মো. খালেক (৪৪), মো. স্বপন মোল্লা (৪৫), মো. ফিরোজ (৪৫), মো. মাহফুজুর রহমান নাসিম (৪২), মো. আসলাম মিয়া (৬১), মো. মইন উদ্দিন সরোয়ার রাজন (৩৫) ও মো. তোফায়েল আহমদ পাটোয়ারী (৪৮)। কথিত ইউরেনিয়াম আটক মো. আসলাম মিয়ার বনানীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায়। তিনি জানান, একটি প্রতারক চক্রের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বনানী থেকে একটি চামড়ার বক্সে কথিত ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। এর ওজন দুই পাউন্ড। এর সঙ্গে একটি রেডিয়েশন প্র“প জ্যাকেট ও রাশিয়ার একটি ক্যাটালগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তাপমাত্রা মাপক, রেডিয়েশন যন্ত্র, হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করা হয়েছে। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আমরা এখনও নিশ্চিত নই এ পদার্থ ইউরেনিয়াম কিনা । পরীক্ষা করার পরই নিশ্চিত বলা হবে। তিনি জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ছয়মাস আগে তাদের কাছে বক্সটি আসে। তারা বিভিন্ন ক্রেতাদের বস্তুটি ভিডিও করে দেখাতো। যাদের ভিডিও পছন্দ হতো, তাদের বনানীর ওই বাসায় নেওয়া হতো। এরপরই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ধানমণ্ডি থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই ঘটনার সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ইউরেনিয়াম সাধারণত পারমাণবিক চুল্লি ও আণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ঢাকার বাইরে থেকে ৬ মাস আগে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে বক্সটি তারা সংগ্রহ করে। বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বক্সটি বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে জানান ওই ব্যক্তি। কথিত ইউরেনিয়াম বক্সটির গায়ে ইংরেজিতে ‘ইউরেনিয়াম অ্যাটোমিক ওয়েট-২২২.০৭ (এ)’ লেখা রয়েছে। ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে ইউরেনিয়াম বিক্রির জন্য কেউ অনুমোদিত নয়। তবে এটি আসল কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে।” উল্লেখ্য, রাজধানীর আণবিক শক্তি কমিশন এবং বিসিএসআইআর-এ এটি পরীক্ষা করা যায়। এটি আসল কিনা আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল জানা যেতে পারে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *