’’২০১৫ সালে ধর্ষণসহ নির্যাতনের শিকার ৪৪৩৬ নারী’’
বিদায়ী বছরে ধর্ষণের ঘটনা আগের বছরের চেয়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ৪৩৬ নারী ধর্ষণসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৯২ নারী। এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানান, এ বছর মোট এক হাজার ৯২ নারী ধর্ষণের শিকার হন। এর মধ্যে ১৯৯ জনকে গণধর্ষণ এবং ৮৫ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
বিবৃতিতে তিনি জানান, এই সময়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ১৪২ নারীকে। শ্লীলতাহানীর শিকার হন ১০৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হন ৬৮ নারী।
তিনি আরও জানান, এ বছর এসিড সন্ত্রাসের শিকার হন ৩৭ জন। অগ্নিদগ্ধ হন ৫৯ নারী। এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয় ২৪ জনের।
অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৯৭টি। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৬৫টি। এর মধ্যে ১৮ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭১৪ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫১ জনকে।
বিবৃতিতে জনানো হয়, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৮৬ নারী। তাদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ২০৩ জনকে। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭০ জন গৃহপরিচারিকা। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৩০ জনকে এবং নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনজন।
উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৩৬২ জনকে। এর মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ২২ জন। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ২৮ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩৩৬ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং ১৬৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছেন ৯৪ জন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৭ জন। শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে ৩০২ জনকে। এ ছাড়া অন্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।