১/১১’র কুশিলব হিসেবে মন্ত্রী আনিসুল ইসলামের বিচার চাইলেন এরশাদ
শেরপুর প্রতিনিধি: এক এগারোর কুশিলব হিসেবে শুধু ডেইলী স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা নয়। এক এগারোর কুশিলব হিসেবে ৫ জনের নাম এসেছে একজনের নাম আসে নাই। তিনি হচ্চেন, আমার জাতীয় পার্টির নেতা এবং বর্তমান সরকারের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তারও বিচার হওয়া উচিত। ওই সময়ে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া তাদের নিজ নিজ পার্টির প্রধান ছিলেন। কিন্তু আমার কাছ থেকে সেনা বাহিনীর সহায়তায় চেয়ারম্যানের পদ ছিনিয়ে নিয়ে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তিনি এখন বর্তমান সরকারের মন্ত্রী। আমি তারও বিচার দাবী করছি।
জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এরশাদ এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমীন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী এম. এ সাত্তার সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরশাদ আরও বলেন জাতীয় পার্টির যখন দূর্দিন চলছিল তখন জি.এম. কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমীন হাওলাদারকে মহা-সচিব করা হয়েছে। এখন পার্টিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। আমি মরার আগ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অটল থাকবো।
সম্মেলনে প্রায় ২ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটস অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ পরে নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে ইলিয়াছ উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে শফিকুল ইসলাম ঠান্ডার নাম ঘোষণা করেন। এসময় মিলনয়তনজুড়ে নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাদের অভিনন্দিত করেন। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে জেলা জাতীয় পার্টির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিলো।