দেশজুড়ে
তেঁতুলিয়ায় সোনিয়া হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্র্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান
তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ড বয় ও তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের মোমিনপাড়া এলাকার মৃত সোলেমান আলীর ছেলে মনসুর আলম রাজন (৩২) এবং ক্ষণিয়াভিটা এলাকার বাসির উদ্দিনের ছেলে এবং তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম এর ছোট ভাই তেঁতুলিয়া বাজারের বিক্যাশ এজেন্ট আতিকুর রহমান আতিক (৩৪) নামের এই দুই যুবক সোনিয়াকে অব্যাহত ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে।
এই অপমান সইতে না পেরে গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯.১০ মিনিটে কোচিংয়ে না গিয়ে রাস্তা থেকে বাসায় ফিরে এসে আত্মহত্যা করে সোনিয়া। ঘটনার পর পরই ওই দুই ধর্ষক গা ঢাকা দিয়েছে।
আত্বহত্যার পর সনিয়ার পরিবার তেঁতুলিয়া থানায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ ধর্ষণ ও আত্বহত্যার প্ররচোনার মামলা না নিয়ে ইউডি মামলা নেয়।
সনিয়ার পরিবার তেঁতুলিয়া থানায় আত্বহত্যা প্ররোচনা ও ধর্ষণ মামলা নিয়ে গেলে থানা পুলিশ সাড়া দেয় নি।
ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে গেলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হলে থানা গত ১৪ অক্টোবর মামলা নিতে বাধ্য হয়। মামলা নং- ৩, ধারা ৯ এর ক. তারিখ: ১৪/১০/২০১৭। এ ঘটনার প্রতিবাদে তেঁতুলিয়া উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্র্থী ও অবিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ১৫ অক্টোবর রবিবার তেঁতুলিয়া শহলে সমবেত হয়ে হত্যাকারীদের শ্বাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, উপজেলা কর্মকর্তা কার্র্র্যালয় ঘেরাও করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলীপি পেশ করেন।
উক্ত মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কোমান্ডার. বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মুহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, ৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়রম্যান কাজী আনিছুর, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সদস্য, উপজেলার সকল স্থরের ব্যক্তিবর্গ, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শহিদসহ গণমাধ্যম ব্যাক্তিবর্গ।